?????? ????? ৪ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:০৮

মেট্রোরেল ছোঁবে মতিঝিল, বাঁচবে কর্মঘণ্টা

আমাদের কাগজ ডেস্ক: এবার বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল ছোঁবে মেট্রোরেল। এতে বাঁচবে ওই এলাকার মানুষের কর্মঘণ্টা, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে আরও দ্রুত। এর আগে, দেশে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের মেট্রোরেল চলে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর। তখন সেই যাত্রা আংশিক হলেও এবার তা পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। আজ (শনিবার) (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় মেট্র্রোরেলের ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৬ (এমআরটি লাইন-৬) আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

জন্য মতিঝিল স্টেশনের কনকোর্স প্লাজায় একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একই অনুষ্ঠান থেকে এমআরটি লাইন-৫ অর্থাৎ হেমায়েতপুর থেকে ঢাকার ভাটারা পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হলেও এটি এখন মতিঝিল পর্যন্ত যাবে। এরমধ্য দিয়ে আপাতত নগরবাসী ২০.১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে মাত্র ৩১ মিনিটে। সবার জন্য এই পথটি খুলবে রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত পূর্ণ সময় চলাচল করলে দিনে মোট ১০ লাখ কর্ম ঘণ্টা বাঁচবে।

এ প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল এমআরটি লাইন-৬ মতিঝিল পর্যন্ত এবং এমআরটি লাইন-৫ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এ জন্য শনিবার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নিয়মিত মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, রবিবার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল শুরু হওয়ার পর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সবগুলো চালু স্টেশনে দাঁড়িয়ে একটি ট্রেন মতিঝিল পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩১ মিনিট। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে যাত্রা পথে ট্রেনগুলো শুধু ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে থামবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলাচল করা ট্রেনগুলো উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উভয় দিকে চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ট্রেনগুলো শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। এসময় মতিঝিল পর্যন্ত কোনো ট্রেন আর চলাচল করবে না।

২১.২৬ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। 

স্টেশনগুলো হচ্ছে— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।
এমএএন ছিদ্দিক বলেন, শুরুতে তিনটি স্টেশন দিয়ে চালু হলেও ধীরে ধীরে স্টেশনের সংখ্যা ও মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানো হবে।

সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনের দৈর্ঘ্য ৮.৭২ কিলোমিটার। ফার্মগেট-সচিবালয়-মতিঝিল স্টেশনে মেট্রোরেল আপাতত থামবে। উত্তরা-মতিঝিল রুটে ৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করবে। সকাল সাড়ে ১১টার পর মতিঝিল-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে এবং উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত যাওয়া মাত্রই এখন যে ৯০ হাজার যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করছে, সেটি পাঁচ গুণ বেড়ে যাবে। মতিঝিলকে ঢাকা শহরের বাণিজ্যিক কেবলা বলা হয়। এখন তো মাত্র চার ঘন্টা, যখন এটি ১২ ঘণ্টা চলবে তখন প্রতিদিন ৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে, মেট্রোতে সেখানে সময় লাগবে মাত্র আধাঘণ্টা। সেই হিসেবে প্রতিদিন একজন মানুষের দুই ঘণ্টা করে কর্মঘণ্টা বাঁচবে। এতে দৈনিক মোট ১০ লাখ কর্ম ঘণ্টা বাঁচবে।

আমাদেরকাগজ/এমটি