স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি। ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেওয়া অস্ট্রেলিয়া দল থেকে মাত্র দুজন স্থান পেয়েছেন সে একাদশে। ওদিকে হেরে গেলেও ভারতের ছয়জন ঢুকে পড়েছেন বিশ্বকাপের সেরা একাদশে।
আর এই দলের অধিনায়ক করা হয়েছে ফাইনালের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচিত রোহিত শর্মাকে।
কুইন্টন ডি কক
বিশ্বকাপের আগেই অবসরের ঘোষণা দেওয়া প্রোটিয়া ওপেনার সেমিফাইনালে ব্যর্থ হলেও টুর্নামেন্টে দারুণ ফর্মে ছিলেন। ১০৭.০২ স্ট্রাইকরেটে ৫৯৪ রান করেছেন ডি কক।
রোহিত শর্মা
বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯৭ রান করেছেন রোহিত শর্মা। এবং এই রান এসেছে ১২৫.৯৪ স্ট্রাইকরেটে। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শুধু গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও হেনরিখ ক্লাসেনের স্ট্রাইকরেট তাঁর চেয়ে বেশি।
বিরাট কোহলি
এক বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙা কোহলি ৯৬.৬২ গড়ে ৭৬৫ রান করেছেন। ১১ ইনিংসে মাত্র দুই ম্যাচে ফিফটি পাননি। ৬ ফিফটির সঙ্গে তিন সেঞ্চুরির শেষটিতে শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙেছেন।
ড্যারিল মিচেল
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা মিচেল ১১১.০৬ স্ট্রাইকরেটে ৫৫২ রান করেছেন। সে রানটা এসেছে ৬৯ গড়ে।
কেএল রাহুল
ভারতের উইকেটকিপার ১০ ম্যাচে ৪৫২ রান করেছেন। ৭৫.৩৩ গড়ে রান তোলা রাহুল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
৪০ বলে সেঞ্চুরির ইনিংসও যে কেউ আড়াল করতে পারেন, সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন, কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে সেটাও ভুলিয়ে দিয়েছেন। ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে অমন এক ইনিংসেই জয় এনে দিয়েছেন।
রবীন্দ্র জাদেজা
ওভারপ্রতি ৪.২৫ রান দিয়ে ১৬ উইকেট আর ১২০ রান করেই বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জাদেজা।
যশপ্রীত বুমরা
ওভারপ্রতি ৪.০৬ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছিলেন। সে সঙ্গে ২০ উইকেটও নিয়েছেন। যশপ্রীত বুমরার কারণেই ভারতের অন্য পেসাররা স্বাধীনভাবে বোলিং করতে পেরেছেন।
দিলশান মাদুশঙ্কা
শ্রীলঙ্কা হয়তো বিশ্বকাপের নবম দল হয়েছে, কিন্তু সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন দলটির বাঁহাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। ২১ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার।
অ্যাডাম জাম্পা
বিশ্বকাপের আগেই খরুচে রেকর্ডের বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন, বিশ্বকাপে তা থেকে মুক্তি মিলেছে। নিজেও ২২.৩৯ গড়ে ২৩ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপ জেতানোর পথে অবদান রেখেছেন।
মোহাম্মদ শামি
দুই অলরাউন্ডার খেলানোর নীতিতে তাঁকে প্রথম চার ম্যাচ খেলায়নি ভারত। হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে দলে ঢোকেন এবং ৭ ম্যাচে ১০.৭০ গড়ে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসেই তাঁর (৫৫) চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন মাত্র চারজন।
দ্বাদশ ব্যাক্তি: জেরাল্ড কোয়েৎজে
আনরিখ নর্কিয়ার চোটে জায়গা পেয়েছিলেন। ১৯.৮০ গড়ে ২০ উইকেট নিয়েছেন নতুন গতি তারকা। তাঁর স্পেলেই সেমিফাইনালে হারের শঙ্কায় পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
আমাদেরকাগজ / এইচকে