জাতীয় ২০ অক্টোবর, ২০১৯ ০৯:১২

মোহাম্মদপুরবাসী রাজীবের দাপটে মুখ খুলতো না

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদাবাজি-দখলবাজি ছিলো তার নিয়ন্ত্রণে। সেই সাথে তার সহযোগীরাই নিয়ন্ত্রণ করতো পুরো এলাকার টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও ডিশ ব্যবসা। গতকাল ১৯ অক্টোবর, শনিবার অবশেষে ডিএনসিসির ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সদ্য যুবলীগ থেকে বহিস্কৃত তারেকুজ্জামান রাজীবকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

রাজীবের সন্ত্রাসী সহযোগীদের দাপটে তটস্থ ছিলেন মোহাম্মদপুরবাসী। ভয়ে তার এসকল অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেতো না।

যুবলীগের রাজনীতি দিয়েই রাজনীতি শুরু করেন তারেকুজ্জামান রাজীব। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি চলে আসেন সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কাছাকাছি। তাদের ‘ম্যানেজ’ করে বাগিয়ে নেন মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতাকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে রাজীব হয়ে যান ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

২০১৫ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারাতে নানা কারসাজি করেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

এরপরই রাজীব এলাকায় একক আধিপত্য গড়ে তুলেন। চাঁদাবাজি, দখলদারি, টেন্ডারবাজি, কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন তিনি। সেই সাথে মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত করেন নিজ এলাকা। 

চার বছরে ৮-১০টির বেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ির মালিক হয়েছেন রাজীব। যেসবের মধ্যে রয়েছে মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, বিএমডব্লিউ স্পোর্টস কার। বাসস্ট্যান্ড, অটোরিকশা স্ট্যান্ড, ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলতেন নিয়মিত। গুলশান-মোহাম্মদপুরে আটটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি।

মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির এক নম্বর রোডে পানির পাম্পের জন্য নির্ধারিত জায়গা ‘দখল করে’ বাড়ি বানিয়েছেন রাজিব। বাড়ির জায়গাটির দামই প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। আর তা নির্মাণে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানা গেছে।