জাতীয় ১ নভেম্বর, ২০১৯ ০৯:৩৬

যা থাকছে নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন আজ ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে। আইনটি কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

নতুন আইনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর শাস্তির বিধান রয়েছে। অন্যদিকে, সড়কে লাইসেন্সসহ বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচারণা না করে সড়কে আইনের প্রয়োগ হলে বিরোধ তৈরি হতে পারে।

গেলো বছরের ২৯শে জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ৩৬ বছরের পুরনো মোটরযান অধ্যাদেশ পাল্টে নতুন সড়ক পরিবহণ আইন পাশ হয়।

নতুন আইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ করা হয়েছে। একইসাথে, বয়স হতে হবে অন্তত ১৮ বছর। নতুন আইনে জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ৬ মাসের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে জরিমানা হবে ২৫ হাজার টাকা সাথে ১ মাসের জেল।

নতুন করে চালকদের পয়েন্ট কাটার বিধান রাখা হয়েছে আইনে। আইন অমান্য করলেই পয়েন্ট কাটা যাবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হবে। পরোয়ানা ছাড়াই চালককে গ্রেপ্তার করারও বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে।

আইনে সড়কে ইচ্ছাকৃত প্রাণহানির ঘটনায় শাস্তি সর্বোচ্চ তিনবছরের জায়গায় পাঁচ বছর করা হয়েছে। একই সঙ্গে তা জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

সড়ক পরিবহনের নতুন আইনে শাস্তি-জরিমানাগুলো হলো-

১. অবহেলায় গাড়ি চালানোতে গুরুতর আহত বা প্রাণহানিতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।

২. উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।

৩. লেন ভঙ্গ ও হেলমেট ব্যবহার না করায় অনধিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোয় ছয় মাসের জেল ও ২৫ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ড ।

৫. নিবন্ধন ছাড়া গাড়ি চালানোয় ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ড।

৬. ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোয় ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা বা উভয় দন্ড।

দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা খরচ, পথচারীদের চলাচল, গাড়ির ফিটনেসসহ নানা ধারায় সাজানো হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত এই আইন। যথেষ্ট প্রচারণা না থাকায় এই আইন নাগরিকদের কতোটুকু স্বস্তি দেবে সেইটাই এখন দেখার বিষয়।