বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ২ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:২৮

টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। 

চীনের ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টিকটকের বিরুদ্ধে নাগরিক তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে জাতীয় নিরাপত্তা তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আইনপ্রণেতারা সম্প্রতি টিকটক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর এই তদন্ত শুর করলো মার্কিন সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের একাধিক সদস্য সম্প্রতি চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন এটি দেশটির নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তারা বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক চালু হয়েছে দুবছর আগে। এরপর সেখানে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাইটটি। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা এর বড় ভক্ত। এখন পর্যন্ত দেশটিতে অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি বার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মার্কিন মার্কিন অ্যাপ মিউজিক্যাল ডট এলওয়াই কিনে নেয় বাইটড্যান্স। মিউজিক্যালডটএলওয়াই’র সঙ্গে টিকটককে একিভূত করে দেশটিতে চালু হয় টিকটক। পরিসংখ্যান বলছে এ বছর ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের অ্যাপ বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে।

মার্কিন বৈদেশিক বিনিয়োগ বিষয়ক কমিটি জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে বাইটড্যান্সের মিউজিক্যালডটএলওয়াই ক্রয় প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে দেখবে তারা। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মিউজিক্যাল ডট এলওয়াই ক্রয় করার সময় সরকারি ছাড়পত্র নেয়নি টিকটক।

ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও শুক্রবার টিকটক ও এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন। তার অভিযোগ, মার্কিন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহকারী যেকোনো চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরুপ।

তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে হংকংয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ নানা বৈশ্বিক পর্যায়ে এটি আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন টিকটকে এ নিয়ে কোনো ভিডিও নেই। এর কারণ কী?’

মার্কো রুবিও ছাড়া সিনেটর চাক শুমার ও টম কটনও টিকটকের নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নের আহ্বান জানান। তদন্তের বিষয়ে টিকটক বলছে, ব্যবহারকারী সম্পর্কিত তথ্য তারা যুক্তরাষ্ট্রেই জমা রাখে। সেসব তথ্যে চীনের সংশ্লিষ্টতা নেই এবং অন্য কোনো দেশের সরকার দ্বারাও তারা প্রভাবিত নয়।