শিক্ষা ৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০৮:৪১

জাবিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সংহতি কর্মসূচী পালন করছে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।  

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদের পাশে মুরাদ চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন তারা। এসময় মঙ্গলবার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে নিন্দা এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ও কোনো রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ভিসি ফারজানা ইসলামের বাসভবন ঘিরেও তাকে নিরাপত্তা দিতে মোতায়ন করা হয় প্রায় ১০০ পুলিশ। 

এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও বিকাল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশের পর পরই বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রছাত্রীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্যরা যোগ দেন।

এরও আগে বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতেতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সঙ্গে বিকাল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।

ওইদিন সকালে দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলনে হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩৫ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

হামলার এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে চলমান অবরোধে টানা ১০ দিন প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত ছিলো।

গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে ভিসির বাসভবন অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় জাবি ভিসি বাসাতেই ছিলেন। গত ২৪ অক্টোবর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা টানা ১০ দিনের মতো নতুন ও পুরনো দুইটি প্রশাসনিক ভবনই অবরোধ করে রেখেছে।

ফলে এই ১০ দিন ভিসি, দুই প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীই প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে পারেননি। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। তবে একাডেমিক কার্যক্রম অনেকটা স্বাভাবিক ছিলো।