বিনোদন ৬ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:২৪

যেভাবে হত্যার হুমকি পান অভিনেত্রী নুসরাত জাহান

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহান এবার দুর্গাপূজায় মহাঅষ্টমীতে স্বামীর সঙ্গে পূজামণ্ডপে গিয়ে অঞ্জলি দেন। একজন মুসলমান হয়ে পূজায় অংশ নেওয়ায় সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এমনকি হত্যার হুমকিও পেয়েছেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) মহাঅষ্টমীতে শাড়ি ও সিঁদুর পরে নুসরাত তার স্বামীর সঙ্গে কলকাতার সুরুচি সংঘের পূজা মণ্ডপে গিয়ে পূজা দেন। তিনি চোখ বন্ধ রেখে হাতজোড় করে অঞ্জলির মন্ত্রপাঠ ও প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাক বাজান এবং নাচেনও। সামাজিক ও গণমাধ্যমগুলোতে তার এই ভিডিও ও ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

পূজায় অংশ নিয়ে সেখানে ঢাকের তালে নাচেও দেখা গিয়েছে তাকে। পরিবেশটা তখন যতটা উৎসবমুখর মনে হচ্ছিল, পরিণতি মোটেও তেমনটা থাকেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভারতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল বিতর্ক চলছে।

ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেসের আসাম রাজ্যের আইটি সেলের এক কর্মী নুসরাতকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। তবে নুসরাতের পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে। অনেকের দাবি, সালমান খান ও শাহরুখ খান যখন পূজায় অংশ নেন তখন কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেন না কেন? ধর্মনিরপেক্ষতা ও সম্প্রীতির ওপর একে হুমকি মনে করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত দিচ্ছেন অনেকে।

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের একজন পণ্ডিত মুফতি আসাদ কাশমী বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। তিনি হিন্দু দেবতাকে পূজা দিচ্ছেন, যদিও ইসলামের অনুসারীদের প্রতি নির্দেশ রয়েছে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারও উপাসনা না করার। তিনি যা করেছেন তা হারাম। নুসরাত তার ধর্মের বাইরে বিয়ে করেছেন। তার নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করা উচিত। যিনি মুসলিম নাম রেখে ইসলামের অমর্যাদা করেন এমন মানুষ ইসলামের প্রয়োজন নেই।’

নুসরাতের বক্তব্য, জন্মসূত্রে তিনি মুসলমান এবং তার স্বামী হিন্দু হওয়ায় উভয় ধর্মের প্রতিই তিনি শ্রদ্ধাশীল। আর ধর্মবিশ্বাস নিতান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মনে করেন তিনি।