খেলাধুলা ১০ নভেম্বর, ২০১৯ ০৮:৫২

'ওয়েলকাম ক্যাপ্টেন' বলে মুমিনুলকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন মুশফিক

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্ট। কিন্তু তার আগে নাগপুরে টি-টোয়েন্টি ভেন্যুতেই হাজির নতুন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক! সাকিব আল হাসান আচমকা নির্বাসনে চলে যেতেই তাকে নেতৃত্বে এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু কক্সবাজারের এই ক্রিকেটার আছেন আগের মতোই, ধীর-স্থির, চুপচাপ।

আগের দিন নাগপুরে পা দিয়েই ছিলেন বিশ্রামে। অবশ্য কলকাতা হয়ে নাগপুরে আসার পথে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর আঁচ কিছুটা পেতে হয়েছে মুমিনুলসহ টেস্ট দলে যোগ দিতে আসা বাকী ক্রিকেটারদের! আগের দিন বৃষ্টি ছিল কলকাতায়! নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিমানবন্দর থেকে নাগপুরে আসতে ফ্লাইট বিলম্ব! ব্যস, দেড় ঘন্টার রাস্তাটুকু আসতে কেটে গেছে ৬ ঘন্টারও বেশি।

পাঁচতারকা হোটেল লা মেরিডিয়ানে রাতটা বিশ্রামে থেকে সকালেই হাজির নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে। অবশ্য তাদের আগেই মাঠে পা রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা যখন ওয়ার্ম আপ, স্ট্রেচিং শেষ করে নেটে যেতে শুরু করেছেন তখনই মুমিনুলের সঙ্গে মাঠে পৌঁছে গেলেন টেস্ট দলের ৭ ক্রিকেটার। ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, সাঈফ হাসান, এবাদত হোসেন আর আবু জায়েদ রাহি।

নাগপুরের বিদর্ভ স্টেডিয়ামে নামতেই উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হলেন মুমিনুল-ইমরুলরা। স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরির সঙ্গে প্রথম দেখা। ব্যাট-প্যাড পরে নেটে যেতে প্রস্তুত ছিল মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মুমিনুলকে দেখতেই ছুটে এলেন, বুকে জড়িয়ে ধরার আগে বললেন, 'ওয়েলকাম ক্যাপ্টেন।'

এখন তো টেস্টে মুশফিকদের অধিনায়কই মুমিনুল। যদিও নিজে নিশ্চয়ই আঁচও করতে পারেননি ভারত সফরে এমন কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হবে তাকে। প্রথম দিন অবশ্য অনুশীলনের ফাঁকে কোনো কথাই বললেন না মুমিনুল। ইন্দোরে পা রাখার আগে হয়তো কোনো কথাই হবে না! তার আগে অবশ্য জানিয়ে রেখেছিলেন, এভাবে অধিনায়কত্ব পাবেন, ভাবেনওনি! নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুতি না থাকলেও দায়িত্বটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন মুমিনুল।

টেস্ট দলে ফেরা ইমরুলও ঘাম ঝরানো অনুশীলন করলেন শনিবার। তার ফাঁকে টুকটাক কথা বললেন। যেখানে থাকল শুধুই কলকাতার দিবা-রাত্রির টেস্ট প্রসঙ্গ। ২২ নভেম্বর ইডেনে গোলাপি বলে খেলা হবে। আর সেই টেস্ট কেমন হতে পারে, বলের সেলাইও গোলাপি থাকছে কীনা এনিয়ে নিজে জানতে চাই ছিলেন। অবশ্য ঢাকা ছাড়ার আগে এক দিন পিঙ্ক বলে অনুশীলন করে এসেছেন!

১৪ নভেম্বর ইন্দোরে প্রথম টেস্ট। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন ক্রিকেটাররা। ১০ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি মিশন শেষ হতেই নাগপুর থেকে ঢাকার পথ ধরবেন ৬ ক্রিকেটার। চলে যাবেন সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, আবু হায়দার রনি, আরাফাত সানি ও শফিউল ইসলাম।

তার আগে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে রোববার চাই জয়। তাহলেই মনে রাখার মতো কিছু একটা নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন আফিফ-আবু হায়দার রনিরা!