আইন ও আদালত ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০৫:৫৮

মাস না পেরুতেই ফের বেদখল গাবতলী ঘাট

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

বেদখল হওয়া জমিতে খুব ঘটা করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযানে নেমেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। দীর্ঘ অভিযানে উদ্ধার করা হয় বেদখল হওয়া বিপুল জায়গা। তবে উচ্ছেদের অল্পদিনেই সেসব জমির অধিকাংশই ফের বেদখল হয়ে গেছে। তবে এসব জায়গা পুনরায় দখলছাড়া হওয়ার খবর জানা নেই ডিএনসিসির।

গত মাসের শুরুতে গাবতলী এলাকার ইট বালুর ঘাট ও কয়লার ঘাটে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তারা ১১ একর জায়গা উদ্ধার করে। ভেঙে ফেলা হয় দেড় শতাধিক স্থাপনা। কিন্তু এক মাস পার না হতেই সেখানে ফের দখলে নামে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল।

গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর গাবতলী এলাকার তুরাগের তীরে কয়লার ঘাট ও ইট বালুর ঘাট এলকায় ১১ একরের বেশি জায়গা ফের দখল করে সেখানে পাকা স্থাপনা তৈরি করছে একটি মহল। এরইমধ্যে অধিকাংশ স্থাপনা নির্মাণের কাজও শেষ।

দখলের পেছনে স্থানীয় ইট-বালু ও কয়লা ব্যবসায়ীরা জড়িত বলে জানা গছে। কেউ কেউ এরইমধ্যে নানা রঙে সাজিয়েছে গড়ে তোলা গদি ঘরের দেয়াল। এসব গদিঘর থেকেই চলছে ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম। অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা এসব গদি থেকে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে শত শত ট্রাক বালু, পাথর ও কয়লা।

স্থানীয়রা জানান, উচ্ছেদের দিন এবং তার পরদিন বৃষ্টি হওয়ায় দখলকারীদের তেমন সক্রিয়তা ছিল না। তবে তারপর থেকে আবারও পুরোদমে দখলে নামেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। তবে উচ্ছেদের জায়গা ফের দখলের খবর জানেন না ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

ডিএনসিসির ওই অঞ্চলের (অঞ্চল-৪) নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিনতে সিরাজ জানান, পুনরায় দখলের বিষয়টি তার জানা নেই। এমন খবর তিনি পাননি। এ প্রতিবেদকের কাছেই শুনলেন।

তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ করা জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে। মেয়রের দপ্তর থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা আসবে। তারপর সেখানে দেওয়াল তুলে সিমানা নির্ধারণ করা হবে।’

ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম উচ্ছেদের পর আবার দখলের খবরটি জানা আছে বলে স্বীকার করে জানান এ ব্যাপারে পদক্ষেপের বিষয়ে মেয়রের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্ছেদের পর আবারও দখল হয়। এসব বিষয়ে আমরা আবারও দৃষ্টি দেবো। গাবতলীর জায়গাটা উচ্ছেদের পর আবারও দখল করা হয়েছে। আমরা মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’