জাতীয় ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০৩:৩৬

সংসদে ট্যারিফ কমিশন বিল

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

তদন্তে পাওয়া তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিধান যুক্ত করে সংসদে উঠেছে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) বিল ২০১৯’। প্রস্তাবিত আইনে কমিশনের কাজের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সংসদের বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশির পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বিলটি উত্থাপন করেন।


পরে বিলটি পরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ১৭ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ১৯৭৩ সালে ট্যারিফ কমিশন প্রতিষ্ঠা হয়। পরে ১৯৯২ সালে আইন হয়। কমিশনের কাজের ধারা পরিবর্তিত হওয়ার কারণে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন’-এর স্থলে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করার কথা বলা হয়েছে। কমিশনের কাজের পরিধি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গবেষণা বা সমীক্ষা কাজে সহায়তার জন্য কমিশন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক ও গবেষণা সহায়তাকারী নিয়োগ করার ক্ষমতা কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে শর্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়ে প্রকাশ করা যাবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৩ সালে ট্যারিফ কমিশনের সৃষ্টি হলেও পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ট্যারিফ কমিশনের কাজের ধারাও পরিবর্তিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সময় ও কাজের পরিধি বিবেচনায় প্রস্তাবিত আইনের সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’