খেলাধুলা ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:৫০

ব্যাটিংয়ে মাহমুদুল্লাহ্‌র চেস্ট গার্ড পরা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করলেন গাভাস্কার!

স্পোর্টস ডেস্ক।।

ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুতে সকালে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ৫৮.৩ ওভারে সব ক'টি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে মাত্র ১৫০ রান। দিনের শুরুতে বাংলাদেশ যখন একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশেহারা, ঠিক তখনই টাইগার ব্যাটসম্যান রিয়াদ কেনো ব্যাটিং করতে নেমেছেন চেস্ট গার্ড পরে সেটি নিয়ে এক ধারাভাষ্যকারের প্রশ্ন, ‘ফাস্ট বোলারদের খেলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে না বলে সাধারণত টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের দেখি পাঁজরে গার্ড পরতে। একজন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কেন চেস্ট গার্ড পরে খেলছে?’ পাশ থেকে সুনীল গাভাস্কার বললেন, ‘চেস্ট গার্ড যেকোনো ব্যাটসম্যানই পরতে পারে। কিন্তু আত্মবিশ্বাস এত নিচুতে কেন? মাহমুদউল্লাহ তো ভালো ব্যাটসম্যান।’

প্রশ্নটা সেটাই। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দেখা গেছে ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’, ইন্দোর টেস্টে সেই তাঁদের কেন থর হরি কম্পমান দশা! অথচ টস জিতে কী ইতিবাচক আর সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। উইকেটে ঘাস আছে, হালকা আর্দ্র কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ দলে দুর্দান্ত তিন ফাস্ট বোলার প্রথম দিনের সকালটা দুর্বিষহ করে তুলতে পারেন—সব জেনেও মুমিনুল ব্যাটিং নিয়েছেন। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, ‘আমরা বোলিংই নিতে চেয়েছিলাম। তবে কঠিন কন্ডিশনে আমাদের ব্যাটিং করতে আপত্তি নেই।’

একাদশে সাত ব্যাটসম্যান নেওয়ার অর্থই বাংলাদেশের লক্ষ্য টেস্ট ড্র করা। অবশ্য ইন্দোর টেস্টের প্রথম দুই সেশনে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের যে ‘অ্যাপ্রোচ’ দেখা গেছে, তাতে ড্র ঠিক নয়, কোনোভাবে ম্যাচটা পাঁচ দিনে নিয়ে যাওয়াটাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। এখনো পর্যন্ত যতটুকু ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, তাতে পাঁচ দিন কেন এ টেস্ট চতুর্থ দিনেও যায় কিনা ঘোর সংশয়।

বাংলাদেশের একজন ব্যাটসম্যানকেও মনে হয়নি স্বচ্ছন্দে এগোতে পারছেন। অজিঙ্কা রাহানে আর বিরাট কোহলির মতো দুর্দান্ত দুই ফিল্ডারের হাত গলে চারটি ক্যাচ হাতছাড়া না হলে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ পার হয় না! একটা দলের বাজে দিন যেতেই পারে। তাই বলে শুরু থেকে সবার এক সঙ্গে কাঁপাকাঁপি! টেস্টে ভারতের পেস আক্রমণ এ মুহূর্তে বিশ্ব অন্যতম সেরা। তার ওপর আবার পছন্দের কন্ডিশন। বলেও মুভমেন্ট আছে। ধারাবাহিকভাবে ‘স্পট’ ডেলিভারি করছেন তাঁরা। লাল মাটিতে তৈরি শক্তি পিচে বল উঠছে। তাই বলে তাঁদের একেবারেই খেলা যাবে না? মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবদের পড়াশোনা না করেই কি খেলতে নেমেছেন মুমিনুলরা? তাঁদের কীভাবে খেলতে হবে, সেটি তাঁদের অজানা? তবুও কেন এভাবে ঘাবড়ে যাওয়া!