আন্তর্জাতিক ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ ০৬:৩২

শ্রীলঙ্কায় শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

শ্রীলঙ্কায় অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল। নির্বাচনের মাঠে ৩৫ প্রার্থী অংশ নিলেও ধারনা করা হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাসা ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গোটাবাইয়া রাজাপাকসের মধ্যে।

বুধবার নির্বাচনি প্রচার শেষ হয়। এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

দুর্বল অর্থনীতি, নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ ও ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে থাকা দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কা প্রস্তুত অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে রাজধানী কলম্বোসহ গোটা দেশ।

এবার নির্বাচনের মাঠে লড়াইয়ে নেমেছেন ৩৫ প্রার্থী। তবে তাতে নেই বর্তমান প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা মূলত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে প্রধান দুই প্রার্থী ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি-ইউএনপি’র সাজিথ প্রেমাদাসা ও বিরোধী শ্রীলঙ্কা পিপলস ফ্রন্ট-এসএলপিপি’র গোটাবায়া রাজাপাকসের মধ্যে।

গোটাবায়ে রাজাপাকসে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের ভাই। ভাইয়ের আমলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন গোটাবায়ে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু তামিল ও কট্টর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। যদিও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আঁতাত, নৃশংসতা ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

অপরদিকে, শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু ও নিম্নবর্ণ থেকে নির্বাচিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী রানাসিংহ প্রেমাদাসার ছেলে সাজিদ প্রেমাদাসার জনপ্রিয়তা সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেশি। তবে কট্টর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ে ততটা সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কার মন্থর অর্থনীতিকে গতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে তার দল ইউএনপি।

গোটাবায়ের প্রচারণায় প্রাধান্য পেয়েছে সহিংসতামুক্ত নিরাপদ পরিবেশ তৈরি ও সন্ত্রাস নির্মূল অভিযান বিষয়ক স্লোগান। চলতি বছরের ইস্টার সানডের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে তুলে ধরে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে এসএলপিপি।

এদিকে, ভারত মহাসাগরের বেশিরভাগ জলসীমাই যেহেতু দ্বীপরাষ্ট্রটির মালিকানায় রয়েছে, তাই এর নির্বাচনে আগ্রহ রয়েছে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারকারী রাষ্ট্র ভারত ও চীন। মোদি সরকার চায় প্রেমাদাসাই যেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে সিংহল নেতাদের ধারণা গোটাবায়ে রাজাপাকসে হেরে গেলে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েনে পড়বে নব-নির্বাচিত সরকার।