জাতীয় ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০৬:৫৯

চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে, দাম বাড়ানো যাবে না: খাদ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কেউ অহেতুক চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চালের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের চালের কোনো ঘাটতি নেই, পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। চাল আমদানির দরকার নেই, আমরা চাল রফতানির জন্য প্রস্তুত আছি। তাই দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। চালের দাম বাড়ালে কোনো ক্রমেই সহ্য করবো না, প্রশ্রয় দেবো না।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে পাইকারি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করবো সেটি মনিটর করতে। কারণ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালে ৫ থেকে ৬ টাকা লাভ করে বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, যদি বেশি নেন তাহলে বুঝব সেবা করতে নয় তারা শোষণ করতে বসেছেন। খুচরা বাজার আপনাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেটির দায় দায়িত্ব আপনাদের উপরও বর্তায়। চালের দাম বাড়বেন না, বরং আগের পর্যায়ে নিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১১ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন শুধু সরকারি গুদামে চাল মজুদ আছে। চালের দাম মনিটরিংয়ের জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছি। ভোক্তা অধিকার আইনের মধ্য দিয়ে যা করা দরকার তা করা হবে। ভোক্তা অধিকারকে বলব জরুরি ভিত্তিতে আপনারা মাঠে নামেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধানের দাম যেহেতু কম, চালের দামও কম হবে। মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধা নেবে সেটা চলবে না। সরকারি রেটে ধান কেনার কথা মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকায়। সেই রেশিওতে হলে চালের বাজার থাকতে হবে ৪০ টাকা, লাভসহ ৪২ টাকা হতে পারে। কিন্তু ধানের দাম ১ হাজার ৪০ টাকায় কিনছেন না ব্যবসায়ীরা, তারা কৃষকের ন্যায্য মূল্য দেবেন না, চালের দাম বাড়াবেন তা হবে না।

আগামী ১০ দিন পরিবহন ধর্মঘট থাকলেও চালের বাজারে প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।