আন্তর্জাতিক ২৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০৯:৪৩

ফেসবুকে প্রেম, দেখা করার পর প্রেমিকার অলংকার নিয়ে চম্পট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

ভারতের লেকটাউনে পুলিশ পরিচয়ে একজন নারীর সঙ্গে কয়েক মাসের প্রেম। তারপর প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পালিয়ে নিয়ে যায় প্রেমিক। তবে মাঝপথে ওই নারীকে রেখে তার গয়না নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। সৌমিত্র মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে দুলাল হালদার নামে তার এক সঙ্গীর নাম। তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রও।

পুলিশ বলছে, চলতি বছরের আগস্ট মাসে ফেসবুকে লেকটাউনের এক গৃহবধূর সঙ্গে আলাপ হয় সন্দেশখালির সৌমিত্র মণ্ডলের। নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেন সৌমিত্র। অন্যদিকে, ওই নারীর এক মেয়ে রয়েছে। বন্ধুত্ব থেকে ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর গত অক্টোবর মাসে ওই নারীকে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন সৌমিত্র। তাতে রাজিও হয়ে যান ওই নারী।

এর পর শুরু হয় পালানোর ছক কষা। পুলিশ বলছে, ওই নারীকে সোনাদানা ও টাকাপয়সা নিয়ে আসতে বলেন সৌমিত্র। সে অনুসারে সপ্তাহ দুয়েক আগে এক সকালে নারীর স্বামী যখন মেয়েকে স্কুলে দিতে যান, সেই ফাঁকে সৌমিত্রের বাইকে চড়ে পালিয়ে যান তিনি। 

বাইপাসের আনন্দপুরের কাছে এসে সৌমিত্রের ফোনে একটি কল আসে। তখন সৌমিত্র ওই নারীকে নানা অজুহাতে আনন্দপুরে দাঁড় করিয়ে রেখে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসার কথা বলেন। ওই নারী যেহেতু পালিয়ে এসেছিলেন বাড়ি থেকে, তাই সৌমিত্রর কথা মতো মোবাইলও বন্ধ করে তার কাছে দেন।

আনন্দপুরে তাকে রেখে সৌমিত্র যে যান, তারপর আর ফেরেননি। তার পর দীর্ঘক্ষণ ওই এলাকায় ইতস্তত ঘুরতে দেখে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে সব কথা খুলে বলেন তিনি। এ নিয়ে গত ১৬ নভেম্বর লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। তার পরেই পুলিশ সৌমিত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।

শেষ পর্যন্ত পুলিশ সফল হয় ২৫ নভেম্বর। ওই দিন সৌমিত্রকে গ্রেফতারের পর বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেই পর্দা ফাঁস হয় পুরো ঘটনার। সৌমিত্রের সঙ্গী দুলালকেও ধরে পুলিশ। 

দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উদ্ধার করা হয়েছে খোয়া যাওয়া সোনার গয়না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এটাই প্রথম ঘটনা ঘটিয়েছে সৌমিত্র-দুলাল, নাকি আগেও তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগের নজির রয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার।