সারাদেশ ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:১৩

রাবি সি ইউনিটে প্রথম হওয়া সেই শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ স্নাতকে সি ইউনিটের অ-বিজ্ঞান শাখার মানবিকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম জালিয়াতি সন্দেহে স্থগিত করা হয়েছে।

'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক একরামুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসিবুর রহমান নামের ওই শিক্ষার্থী নিজের ইউনিট ‘এ’-তে (মানবিক, রোল-৫৪২৩৩) পেয়েছেন মাত্র ২০ নম্বর। অথচ 'সি' ইউনিটের (বিজ্ঞান, রোল-৮০৩১৮) অ-বিজ্ঞান শাখায় মানবিক থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হাসিব পেয়েছেন ৮০ (এমসিকিউতে ৬০ এর মধ্যে ৫৪ ও লিখিততে ৪০ এর মধ্যে ২৬)।
ফলাফলের এই অসঙ্গতি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের নজরে আসায় তাকে গত ২৫ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সে দিন ডিন অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরদিন মঙ্গলবার সকালে হাসিবকে কর্তৃপক্ষ ‘ঠাণ্ডা মাথায়’ চিন্তা করে আসতে বলা হয়, কিন্তু পরদিন হাসিব আসেননি।

'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন একরামুল হামিদ বলেন, 'হাসিব 'এ' ইউনিটে মাত্র ২০ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু 'সি' ইউনিটে সে সর্বোচ্চ নম্বর ৮০ পেয়েছে। এ তথ্যটি জানার পর সন্দেহ থেকে তাকে সে দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু চিন্তা করে মঙ্গলবার সকালে এসে আসল তথ্য দিতে বলা হয়। কিন্তু তারপর দু'দিন হয়ে গেলেও সে আসেনি। তার ফোন নম্বরও বন্ধ।'

'সেদিন তার হাতের লেখা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার হাতের লেখাও সন্দেহজনক মনে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাতে সে খুব বেশি উত্তর দিতে পারেনি। একটু গরমিল মনে হয়েছে। পরে তার এ ও সি ইউনিটের পরীক্ষার দুটি খাতাও দেখা হয়েছে। সেখানেও তার হাতের লেখায় গড়মিল দেখা গেছে। সব মিলিয়ে আমরা ডিনরা বসে জালিয়াতির সন্দেহে তার ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছি।'

তার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে প্রশ্ন করা হলে একরামুল হামিদ বলেন, 'ভর্তি কার্যক্রম যেহেতু ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ সময়ে সে (হাসিব) আসলে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা ডিনরা একটা তদন্ত কমিটি হয়ত পরে করব।'

এ ব্যাপারে হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথম দিন তিনি বলেন, গ্রামের বাড়ি থাকায় তার পক্ষে দেখা করা সম্ভব নয়। তবে কয়েকদিন পর রাজশাহী এসে তিনি যোগাযোগ করবেন। এরপর থেকে তিনি ফোন রিসিভ করছেন না। ম্যাসেজ পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি।