খেলাধুলা ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:২২

কাল শুরু হচ্ছে এসএ গেমস

স্পোর্টস ডেস্ক।।

রবিবার (আগামীকাল) উঠতে যাচ্ছে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক’ খ্যাত এসএ গেমসের পর্দা। ৭ দেশের ক্রীড়াবিদদের মিলনমেলা হচ্ছে নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে। যেখানে লড়াইটা হবে ১১৩৫টি পদকের জন্য।

১০ দিনের এই গেমসে ২৬টি ডিসিপ্লিনে ৩২৪টি সোনার লড়াইয়ে অংশ নেবেন ক্রীড়াবিদরা, যেখানে আগের মতোই ফেভারিট ভারত। আগের ১২টি আসরেই যে তারা ছিল সবার ওপরে। তবে স্বাগতিক নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাও বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ইভেন্টগুলোতে নিজেদের সাধ্যমতো লড়াই করবে।

দুই দশক পর নেপালে ফিরছে এসএ গেমস। কাঠমান্ডু ও পোখারা- এই দুটি শহরে হবে ১৩তম আসর। ২৬টি ডিসিপ্লিনে এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে গলফ ও কারাতে। আর ৮ বছর পর ফিরেছে ক্রিকেট। প্রথমবার ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও ব্যাটে-বলে অংশ নেবে এই প্রতিযোগিতায়। সবচেয়ে বেশি ২০টি ইভেন্ট সাঁতারে, আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯টি ইভেন্ট অ্যাথলেটিকসে। এছাড়া আগের মতোই লড়াই হবে আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিংয়ের মতো জনপ্রিয় ডিসিপ্লিনে।

এসএ গেমসে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ৫৯৫ জন অ্যাথলেট। ট্রাইলথন ছাড়া বাকি সব ডিসিপ্লিনেই থাকছেন বাংলাদেশের প্রতিযোগী। আগের চেয়ে বেশি পদক পাওয়ার প্রত্যাশা এবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ)।

২০১৬ সালের সবশেষ আসরে ভারতের আসাম-মেঘালয়ের গেমসে ৪টি সোনা, ১৫টি রুপা ও ৫৬টি ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার পদক জয়ীদের আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। একক ইভেন্টে সোনা জয়ী বাংলাদেশি খেলোয়াড় পাবেন ৬ লাখ টাকা। রুপা ও ব্রোঞ্জ জয়ী পাবেন ৩ লাখ ও এক লাখ করে টাকা। অবশ্য দলীয় ইভেন্টে থাকছে ব্যবধান। এতে সোনা জয়ী দল পাবে এক লাখ টাকা। আর রুপা ও ব্রোঞ্জ জয়ী দলকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার করে টাকা।

প্রশিক্ষণ এবার কম হলেও আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশ দলের শেফ দ্য মিশন আসাদুজ্জামান কোহিনূর, ‘এই গেমস নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। এজন্য প্রশিক্ষণের সময়টাও আমরা কম পেয়েছি। যতটুকু জানি, অন্য দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যায়। নেপাল যেমন অনেকগুলো ইভেন্টের জন্য বিদেশি কোচের অধীনে প্রশিক্ষণের মধ্যে আছে। যেহেতু আমাদের সেরকম আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই, তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যে প্রশিক্ষণ হয়েছে, তাতে গত আসরের চেয়ে ভালো ফল হবে ইনশাল্লাহ।’

কাঠমান্ডুতে চলছে খেলোয়াড়দের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নেপালের আয়োজনে সন্তুষ্টির কথা জানালেন এই কর্মকর্তা, ‘নেপালের সবকিছুতে ইতিবাচক ভূমিকা দেখে ভালো লেগেছে। তারা ভেন্যুগুলোকেও ঠিকমতোই প্রস্তুত করেছে। পোখারার ভেন্যুগুলো আধুনিক হয়েছে। বিশেষ করে তাদের ইনডোরটা দারুণ।’