Notice: Trying to access array offset on value of type null in /home/u863453615/domains/amaderkagoj.com/public_html/includes/frontend/contents/post.php on line 46

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচ জিতল রাজস্থান

ডাগ আউট থেকে মাত্রই ক্রিজে আসা রবিন উথাপ্পা কতই-বা করবেন। নিজের সেরা সময় তো অনেক আগেই তিনি পেছনে ফেলে এসেছেন। সঙ্গে আছেন হরিয়ানার ক্রিকেটার রাহুল তেওয়াটিয়া। তিনি আবার একটু আগেও ১৯ বল খেলে ছিলেন মাত্র ৮ রানে। স্যামসন আউট হওয়ার আগে রাহুল একটা ছক্কা মারলেও খুব একটা ভাল দেখাচ্ছিল না তাঁর স্ট্রাইকরেট (২১ বলে ১৪)।

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব করেছিল ২২৩ রান। তাড়া করে জিততে হলে আইপিএল ইতিহাসের রেকর্ড ভাঙতে হতো। সেই চেষ্টায় আজ শারজা স্টেডিয়ামে এক পর্যায়ে ১৮ বলে ৫১ রান দরকার ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। আগের ম্যাচে ৭৪ করা সঞ্জু স্যামসন মাত্রই আগের ওভারে আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে। ২৭ বলে ৫০ রান করে স্মিথ তো ফিরেছেন বহু আগেই।

শেষের ওভারের জন্য পাঞ্জাব আবার বাঁচিয়ে রেখেছিল দুই ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামি ও শেলডন কটরেলকে। এমন অবস্থায় ম্যাচ জেতা কি সম্ভব? কিন্তু ১৮তম ওভারে কটরেলকে দেখে কী যেন ভর করলো রাহুলের ওপর। ছক্কা, ছক্কা, ছক্কা, ছক্কা, ০, ছক্কা-কটরেলের এক ওভারে ৩০ রান নিয়ে পুরো ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিল এই ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি!

১৮ বল ৫১ রান থেকে ম্যাচের সমীকরণ এসে ঠেকে ১২ বলে ২১ রানে। এই যুগের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা কঠিন কিছু না। এক ওভারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাব নিশ্চিত দুই পয়েন্ট হাতছাড়া করার পথে।

১৯তম ওভারের প্রথম বলে শামি অভিজ্ঞ উথাপ্পাকে আউট করে । কিন্তু উথাপ্পাকে আউট করে যেন উল্টো আরেক ছক্কা হাঁকানো বাসান ডেকে আনলেন শামি। আগের ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জফরা আর্চার ক্রিজে এসেই চোখের পলকে যোগ করেছিলেন ২৪ রান। আজ পাঞ্জাবের বিপক্ষেও ঠিক তাই করলেন। পর পর দুই ছয় মেরে এক রান নিয়ে আর্চার ক্রিজের অপর প্রান্তে যেতে না যেতেই রাহুল মারলেন আরেক ছক্কা। ৩০ বলে ফিফটিও পূর্ণ করলেন। অথচ ১৫ মিনিট আগেও ১৯ বলে ৮ রানে খেলছিলেন তিনি।

শামির ওভারের শেষ বলটাও ছক্কা হতে পারত। কিন্তু কাভার বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারকে পরাজিত করতে পারেননি রাহুল। আউট হলেন ৩১ বলে ৭ ছক্কায় সাজানো ৫৩ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে।

 

স্মরণীয় জয় পেতে রাজস্থানের দরকার মাত্র ৬ বলে ২ রান। জয় অবশ্য সহজে পেল না রাজস্থান। রাহুল আউট হওয়ায় ক্রিজে আসা রিয়ান পরাগ শেষ ওভার করতে আসা মুরুগান অশ্বিনের প্রথম বলে কোনো রান নেননি। পরের বলে স্টাম্প ছেড়ে সুইপ করতে গিয়ে হন বোল্ড। পরের বলে টম কারেন এসে কাভারের ওপর দিয়ে চার মেরে ম্যাচ শেষ করেন। সঙ্গে ইতিহাসও গড়ে স্টিভ স্মিথের দল।

 

 

 


আরো খবর