ডেস্ক রিপোর্ট
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে নববধূকে অপহরণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার ভাইকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে অপহরণকারীরা। এসময় বিয়ে বাড়ির লোকজন ধাওয়া করে দুই অপহরণকারীকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে থানায় সোর্পদ করেছেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের জোড়শিমুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ এলাকার ইমদাদুল হকের ছেলে ইমরান হোসেন তালুকদার (৩২) ও একই গ্রামের আব্দুল সেখরের ছেলে সাদমান আলীম (২৫)।
এ ঘটনায় অপহরনকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন ধুনট উপজেলার জোড়শিমুল গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মেহেদী হাসান সবুজ (২৯)। আহত সবুজ নববধূর মামাতো ভাই।
জানা গেছে, উপজেলার জোড়শিমুল গ্রামের খবির উদ্দিনের মেয়ে সুমিতা খাতুনের (১৮) শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে শাহজাহানপুর উপজেলার লতিফপুর এলাকার আব্দুল আছেরের ছেলে সামিউল মান্নানের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ে বাড়িতে ধুমধাম চলছিল। এ সময় ইমরান ও সাদমান বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে নববধূকে অপহরণের চেষ্টা করেন। তখন নববধূর মামাতো ভাই মেহেদী হাসান সবুজ বাধা দিলে অপহরণকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় বিয়ে বাড়ির লোকজন ধাওয়া করে অপহরণকারী ইমরান ও সাদমান আলীকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। আহত মেহেদী হাসানকে প্রথম ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মুনিরা আক্তার বলেন, আহত সবুজের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় গভীর ক্ষত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শজিমেক হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে।
নববধূর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দাবি করে আটক ইমরান হোসেন তালুকদার বলেন, তার বিয়ের খবর পেয়ে তাকে দেখার উদ্দেশে বিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্ত বিয়ে বাড়ির লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের মারপিট করতে থাকে। তাদের হাত থেকে পালানোর সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নিজেদের ছুরির আঘাতে মেয়ের ভাই আহত হয়েছেন।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আহত ব্যক্তির চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। বিয়ের পর নববধূ স্বামীর বাড়িতে চলে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।