আন্তর্জাতিক ৫ অক্টোবর, ২০২০ ০৬:০৬

২৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেবে ভারত

আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে ভারতের ২৫ কোটি মানুষকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। রোববার এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। নিরপেক্ষভাবে যাতে ওই প্রতিষেধকের বণ্টন হয়, সরকার তা সুনিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সুস্থতার হার বাড়লেও ভারতে প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা এখনও কমেনি। একই সঙ্গে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। 

প্রতি রোববার সোশ্যাল মিডিয়ায় 'সানডে সংবাদ' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন হর্ষবর্ধন। দিন সেখানে তিনি বলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ১৩০ কোটির মধ্যে ২৫ কোটি দেশবাসীর কাছে করোনার প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য সরকারের।

তার জন্য ৪০-৫০ কোটি ডোজ হাতে পাচ্ছি আমরা। সবার মধ্যে সমানভাবে সেগুলো বণ্টন করা হবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

প্রতিষেধক হাতে এসে পৌঁছালে প্রথমে কাদের তা দেওয়া হবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। হর্ষবর্ধন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয়তা বুঝে কাদের ওপর আগে প্রতিষেধক প্রয়োগ করা উচিত, অক্টোবরের মধ্যে তা জানিয়ে দেবেন তারা।

তবে সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন যারা, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মুহূর্তে ভারতে করোনার তিনটি সম্ভাব্য প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো কোভিশিল্ড। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে সেটি তৈরি করছে। দ্বিতীয় তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে প্রতিষেধকটি।

তাতে সফল হলে আদর পুনাওয়ালার সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) সেটি উৎপাদন করবে। 

কিন্তু করোনার প্রতিষেধক তৈরি হয়ে গেলেও ভারত সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পুঁজি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে গত সপ্তাহেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি জানান, ভাইরাসের টিকা তৈরি হয়ে গেলেও আগামী ১২ মাসে তা কিনতে এবং সবার ওপর প্রয়োগ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোষাগারে ৮০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই টাকা আছে কি?

                                                              সূত্র - বিবিসি