জাতীয় ১৪ অক্টোবর, ২০২০ ০৮:৫৫

১১ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে দুর্গাপূজায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনার প্রাদুর্ভাবে এবার দুর্গাপূজায় প্রসাদ বিতরণ ও শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। দুর্গাপূজায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সম্প্রতি ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অধিশাখার উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্দেশনা মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আনুরোধ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে-

>> মন্দির প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ পৃথক ও নির্দিষ্ট থাকতে হবে।

>> পূজামণ্ডপে আগত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমা গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করতে হবে।

>> পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভক্তের সংখ্যা অধিক হলে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করতে হবে।

>> পূজামণ্ডপে আগত সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

>> মন্দিরের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

>> সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পূজামণ্ডপে প্রবেশ করবেন না।

>> হাঁচি ও কাশির সময় টিস্যু রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

>> প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা/ধুনচি নাচ এবং শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে।

>> ধর্মীয় উপাচার ছাড়া অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোকসজ্জা বর্জন করতে হবে।

>> পূজামণ্ডপে একজন থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিফলিত হয়।

স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে বলে গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত এ বিষয়ে বলেন, “আমরা গত ২৬ অগাস্ট এ নিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে স্বাস্থ্যবিধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাত দফা প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতেই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এই নির্দেশনা দিয়েছেসারা বাংলাদেশের সব পূজা কমিটিকে আমরা এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলেছি।”

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন, দেবীর ঘুম ভাঙানোর বন্দনা পূজা। পরদিন সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি আজ বুধবাইতোমধ্যে সংক্রান্ত ২৬ দফা নির্দেশনা পাঠিয়েছেন সারা দেশে পূজা উদযাপন পরিষদ, মন্দির ও পূজা কমিটির কাছে।