ডেস্ক রিপোর্ট
নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করা সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অন্যতম সহযোগী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলাম কথিত ইমাম মাহদী দাবীকারী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অন্যতম সহযোগী। তিনি ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।
মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান দীর্ঘদিন যাবত ইসলাম ধর্ম নিয়ে অপব্যাখ্যামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য অডিও, ভিডিও আকারে ইউটিউব চ্যানেল ‘তাকওয়া অনলাইন টিভি’, অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল ও তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি হতে প্রচার করে আসছিলেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে আরো জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলাম মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অনুসারী হিসেবে কথিত বায়াত গ্রহণ করেন। তিনি এসকল অডিও, ভিডিও ফেসবুক, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচার করে আসছিলেন। তিনি মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অনুসারী সংগ্রহের জন্য অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন।
জানা যায়, সাম্প্রতিককালে ইমাম মাহদী দাবীকারী মুস্তাকের এমন বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে বায়াত গ্রহণ করা ও কথিত জিহাদে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গমনের সময় ১৯ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এছাড়াও, ইতোপূর্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের পাঁচজন ছাত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করে তার অনুসারি হিসেবে যোগদান করেন। গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলামও সৌদি আরব গমন করে মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অনুসারি হিসেবে যোগদান করার পরিকল্পনা করছিলেন।
আরো জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলাম পেশায় একজন চাটার্ড একাউন্টেন্ট হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় সপরিবারে বসবাস করতেন।
গ্রেপ্তারকৃতকে এ সংক্রান্তে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ইতোপূর্বে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
