গভীর থেকে গভীরতম তল অধিক থেকে অধিকতম অতল,
চেনা মন ছুঁই যাই নিশ্বাস ফেলে আসা অবিকৃত কল।
ভাবছো যাহা আমিই তাহা আলাদা কভু নই,
পাতা ধরে লিখি চিঠি পৌছিয়েছো হাত ধরে মোর সই।
তিলে তিল গড়িয়েছো পিরিতের অট্টালিকার ভান,
ক্ষণে চেতনায় ঢলে পড়ো অবেলায় সুরে দাও টান।
নিতান্ত সীমানা ছাড়িয়ে যেতে মন নাহি বাধো,
আকাশ সাগর বিশ্ব জমিন ছাড়িতে কেন সাধো।
জামানার মেলায় মিছের খেলায় কাহাতে মাতো রঙ,
মূল্য দেবেনা ওরা নাচাবে বিনা সাজিয়ে কুৎসিত সং।
বড়ই আজব আয়নায় মুখ দেখে যাও মর্ম নাহি বুঝো,
কালো ধোয়ায় মেলাও সাজ জমিনে মেঘ খোজ।
স্বার্থের দৃষ্টিকোণ নরম কিনারায় হাতের তালুতে,
স্বপ্ন হারা পথিক হয়ে আজীবন রবে পথের ঢালুতে।
মিয়া সাহেব বলে কেও সালাম দেবেনা তোমাতে,
নিশ্ব হয়ে হারাবে যখন গাছের নিচে মাটির মেঝেতে।
গভীর চেতনায় ভাবিতে আমাতে করিয়া জীবন দান,
স্বপ্নচারীনি কেবলি ছিলাম ছিলোনা অভিমান।
তোমার ধরায় তুমিই মাঝি নৌকা নাহি আমি,
বুঝিতে পারিবে তখন জানমাল নিলাম হবে যখনি।
পিছু নাও পিছু রও সম্ভাবনা করে ছুটাছুট,
ভাংগিতে নাহি চাও গলিতে রাখিবে মুখ।
স্বার্থের দুনিয়া বুঝিতে করছো সময় নষ্ট,
এককালীন জমা হচ্ছে তোমার ব্যাংক ভর্তি কষ্ট।
সময় ধরে আসো বেড়িয়ে মিথ্যা যন্ত্রণা,
মিছে ভালোবাসার চিঠির মৌহ করো ত্যাগ যাতনা।
ভাসিনা ভালো রবো একলা সাথী চাইনা কেহ,
অংকুর এর ভালোবাসা নয় খাটি তৃষ্ণা শুধুই দেহ।
লেখক: কোহিনূর প্রধান।