শিক্ষা ৬ নভেম্বর, ২০২০ ০৮:৫৯

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ

প্যানেল গঠনের দাবিতে ১৮ দিন ধরে অনশন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্যানেল পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে টানা ১৮ দিন ধরে অনশন করে যাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। তাদের দাবি, মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮ সালের অপেক্ষামান তালিকা থেকে প্যানেল পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

গত ২০ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ফুটপাতে অনশন করছেন প্যানেলে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। আজ শুক্রবার ১৮ তম দিনে তাদের মধ্যে শতাধিক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

প্রাথমিক সরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশী কমিটির সদস্য মো. আবু হাসান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিকভাবে পাস করেও তারা নিয়োগ বঞ্চিত। ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়। এর মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ শতাধিক কর্মস্থলে যোগদান করেননি।

অনশনকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া তথ্য মতে এখনও ২৮ হাজার ৮৩২ টি শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টের একটি রুলের কারণে গত চার বছরে একবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। অথচ অধিদফতরের হিসাবে গড়ে প্রতিদিন দুই শত শিক্ষক অবসরে যান। সেই তুলনায় নিয়োগ তো হচ্ছে না। এতে আমাদের মতো বেকারের হার বাড়ছে।’

আরেক অনশনকারী মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘গত ১৩-১৪ অক্টোবর আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে অবস্থান করেছি। ১৫ অক্টোবর পুশিল আমাদের লাঠিচার্জ করে সেখানে থেকে তুলে দিয়েছে। এরপর থেকে আমরা এখানে অবস্থান করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছি। গত ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু আমরা অনুমতি পাইনি। হয় আমাদের নিয়োগ দেওয়া হোক, আর না হলে আমাদের সার্টিফিকেটগুলো জমা নিয়ে নেওয়া হোক। কারণ পরীক্ষায় পাস করার পরও যদি নিয়োগ দেওয়া না হয় তাহলে এই সার্টিফিকেট দিয়ে কী হবে।’

জিয়াউল হক বলেন, ‘৩৯ তম বিসিএস থেকে দুই হাজার নন ক্যাডার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকেও আগে প্যানেল পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন কেন আমাদের দাবি মানা হবে না।’