অর্থ ও বাণিজ্য ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৩:৩৬

বাংলাদেশের ৫ ব্যাংককে কালো তালিকা ভুক্ত করল চীন

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

বাংলাদেশের পাঁচ বেসরকারি ব্যাংককে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে চীন। আমদানি মূল্য সময়মতো পরিশোধ না করায় ইসলামী ব্যাংক , সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স) ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এর ফলে চীনের ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের এই পাঁচ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে আই হোসেন বলেন, ‘চীন সরকার বাংলাদেশের পাঁচটি ব্যাংককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এ কারণে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা চীন থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছি না। বিষয়টি সুরাহার জন্য আমরা চীন দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায়। এ জন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

কে আই হোসেন আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর বিষয়টি নিষ্পত্তির ব্যাপারে আগ্রহ কম। এ কারণে নতুন নতুন সমস্যা যুক্ত হচ্ছে।’ আরো অনেক ব্যাংক কালো তালিকায় যুক্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চীনে একটা প্রতারক চক্র গড়ে উঠেছে, যারা দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকের সহায়তায় রফতানি ঋণপত্র নিলেও ঠিকমতো পণ্য পাঠাচ্ছে না। এ কারণে অনেক সময় খালি কনটেইনারও আসার ঘটনাও ঘটেছে। আবার বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির কোনো নথিও নেই। এরপরও তারা পণ্যমূল্য দাবি করছে। এসব ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে, আদালতে মামলাও চলছে। এরপরও চীন একরকম জোর করে এ দেশের ব্যাংকগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এর মাধ্যমে চীনের দুষ্টচক্রের ফাঁদে পড়েছে দেশের এই পাঁচ ব্যাংক। এক দশক আগে ভারতের কয়েকটি ব্যাংকও একই সমস্যা পড়েছিল বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে পদ্মা ব্যাংক করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু এ ব্যাংক চীন থেকে পণ্য আমদানির দায় পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে চীনের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিতে পড়েছেন। এ কারণে পদ্মা ব্যাংকের সব ঋণপত্র গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশটির ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেওয়া হয় ওই নোটিশে।