ডেস্ক রিপোর্ট
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ধানের শীষের এজেন্ট গ্রেফতার করে একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সরকার।’
তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, নির্বাচনের একদিন আগে এজেন্ট গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। একতরফা একটা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের দিকে সরকার আবার এগিয়ে যাচ্ছে। ১২ বছরের মধ্যে তাদের ইতিহাসে একটি রেকর্ডও নেই সুষ্ঠু নির্বাচন করার। সম্ভবত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনটিও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হয়তোবা ভোট ডাকাতির আরেকটি নির্বাচন আমরা দেখতে পাব।’
আজ মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহের পরিবেশ এবং গত দুদিন যেভাবে আমার এজেন্টদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে— আওয়ামী লীগ পরাজয়ের ভয়ে খুবই ভীত। তারা জনগণকে বিশ্বাসই করতে পারছে না। তারা হয়তো সন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন অতিউৎসাহী কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে আবারও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত হতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জনগণ রাজপথে আছে। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনগণ আগামীকাল যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলে আমরাই জয়ী হবো।’
এর আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) এক রাতেই নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ৫৬ নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ জমা দেন ডা. শাহাদাত।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিনা কারণে গ্রেফতার এবং তাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি রাত থেকে আজ ২৬ জানুয়ারি ভোর পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির ৫৬ নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বায়েজিদ এলাকা থেকে ১৭ জন, বাকলিয়া এলাকা থেকে ১২, কোতোয়ালি এলাকা থেকে ছয় ও পতেঙ্গা এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এজেন্টরা নির্বাচনের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ। নির্বাচনী এজেন্টদের ছাড়িয়ে আনতে কমিশনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি কমিশন এতে বিফল হয় তাহলে তাদের ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসা উচিত।
এর আগে রোববার রাতে ২০ নেতাকর্মীসহ এক সপ্তাহে ৫৯ জনকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেন তিনি।