ডেস্ক রিপোর্ট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) র্যাগিংয়ের দায়ে এবার ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুবছরে র্যাগিং কেলেঙ্কারিতে মোট ২৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে পাঁচজন ছাত্রী।
এবারের বহিষ্কারের ঘটনায় ৪৭তম ব্যাচের ১১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অফিস আদেশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের কিছু অবৈধ অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা কেউ এ হলের এলোটেড ছিল না। উপরন্তু এ হলে তারা জুনিয়রদের ওপর র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল।’
বহিষ্কৃতরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের মো. শিহাব ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, চারুকলা বিভাগের মো. আকাশ হোসেন ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের মো. তামিম হোসেন ও মো. রিজওয়ান রাশেদ সোয়ান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মো. ফয়জুল ইসলাম নিরব, বাংলা বিভাগের মো. শিমুল আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সাকিল মাহমুদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ ও মো. রোজেন নুর এবং ইতিহাস বিভাগের সারোয়ার হোসেন সাকিল।
অফিস আদেশে জানানো হয়, এদের মধ্যে শিহাবকে দুই বছর ও বাকিদের এক বছর করে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। বহিষ্কারের নির্ধারিত সময়ে এই শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল কিংবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না। এছাড়া বহিষ্কারাদেশ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু হল ছেড়ে তাদের জন্য বরাদ্দ করা হলে ওঠারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত দাপ্তরিক আদেশে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ৪৮তম ব্যাচের (প্রথম বর্ষ) শিক্ষার্থীদেরকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ওঠে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে গত ৯ জানুয়ারি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক বিশেষ সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের দিন থেকে এ বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।