আন্তর্জাতিক ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:২৯

সন্ধান মিলল ২০০০ বছরের ‘সোনার জিভ’ বসানো মমির

ডেস্ক রিপোর্ট

পুরনো জিনিসের সন্ধানে প্রত্নতাত্ত্বিকদের খননকাজ নতুন নয়। মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রায়ই খুঁজে বের করেন নানান স্মৃতিসৌধ কিংবা মমি। ঠিক এমনই এক খনন কাজের সময় বেড়িয়ে এলো ২০০০ বছরের এক ব্যতিক্রমিপুরানো মমি। ওই মমির মুখের ভিতরে পাওয়া গেছে একটি সোনার জিভ। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে খোদ প্রত্নতাত্ত্বিকরাও।

1

এই খনন কাজ চলছিলো মিশরের বিখ্যাত তাপোসাইরিস ম্যাগনা মন্দির এলাকার আশেপাশে। ইউনিভার্সিটি অফ সান্তো ডমিনগো এবং তার তরফে অধ্যাপক ক্যাথলিন মার্টিনেজের তত্ত্বাবধানে এই খননকার্য থেকে ১৬টি পাথরের কবর খুঁজে পাওয়া গেছে। আর তার মধ্যেই একটি মমির মুখের ভিতরে কিছু একটা চকচক করতে দেখে অবাক হয়ে যান গবেষকরা। পরে দেখা যায় যে ওটা আসলে একটা সোনার জিভ।

এই সোনার জিভটি নিয়ে প্রত্নমহলে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। যদিও সঠিক কারণটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে অনুমান করা হচ্ছে, পাতালে গিয়ে মৃত্যুলোকের দেবতা আসিরিসের সাথে কথা বলার কারণে এই লোকটিকে দেওয়া হয়েছিল এই সোনার জিভ। যখন এই মৃতদেহটিকে মমিফায়েড করা হয়েছিল, তখন এই জিভ বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

2

এই সোনার জিভ যুক্ত মমিটির কঙ্কাল এবং করোটির বেশির ভাগটাই অটুট আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন যে, আবিষ্কৃত অন্য মমিগুলো এতটা ভালো দশায় না থাকলেও এদের সবগুলোর পাথরের মুখাবরণ ঠিক আছে। ফলে জীবদ্দশায় কে কেমন দেখতে ছিল, তা বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট। এই সোনার জিভ ছাড়াও একটি মমির মাথায় সাপ খোদাই করা সোনার মুকুট মিলেছে। এছাড়াও মিলেছে বুক-জোড়া সোনার হার, যেখানে বাজপাখি খোদাই করা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিশরের এই এলাকা অনেক বছর ধরেই ঐতিহাসিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। ক্লিওপেট্রার প্রতিকৃতি শোভিত স্বর্ণমুদ্রাও পাওয়া গেছে এখান থেকে। যা থেকে অনুমান করা হয় যে, ক্লিওপেট্রার সমকালীন ব্যক্তিদেরও এখানে কবর দেওয়া হত।