সারাদেশ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:২২

নিখোঁজের ২৫ ঘণ্টা পর লাশ মিলল সোয়েবের

ডেস্ক রিপোর্ট

যশোরের মনিরামপুরে বাওড়ে সহপাঠীদের সঙ্গে সাঁতার কাটার সময় পানিতে ডুবে নিখোঁজ কলেজছাত্র সোয়েব হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বাওড়ে তল্লাশি চালিয়ে নিখোজেঁর ২৫ ঘণ্টা পর শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে।

এসময় বাওড় তীরে সোয়েবের বাবা-মা, স্বজনসহ সহপাঠীদের আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। সে যশোর আরিফপুর এলাকার পরিবহন সুপারভাইজার শাহিন হোসেনের ছোট ছেলে যশোর সরকারি সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

যশোর পাইসাইন্স কেয়ার কোচিং সেন্টারের ছাত্র সাকিবুল হাসান জানান, কোচিং সেন্টার থেকে সহপাঠি সোয়েবসহ তারা মোট ১৯ জন শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে মনিরামপুরের ঝাঁপা বাঁওড়ের ওপর নির্মিত ভাসমান সেতু দেখতে আসে। পরে তারা একটি ট্রলার ভাড়া করে বাওড়ে নামে। দুপুর ১২ টার দিকে ভাসমান সেতুর পাশে পৌঁছালে ট্রলার থেকে সোয়েব হোসেন, তন্ময় রিফাত তিনবন্ধু সাঁতার কাটতে লাফ দেন বাওড়ের পানিতে। এর কিছুক্ষণ পর তন্ময় রিফাত তীরে উঠে আসলেও নিখোঁজ হয় সোয়েব। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং খুলনা থেকে ডুবুরি দল যৌথভাবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বাওড়ে তল্লাশি চালিয়েও সোয়েবকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু রাতভর সোয়েবের বাবা-মাসহ স্বজনরা বাওড়ের তীরে অবস্থান নিয়ে আহাজারি করতে থাকেন।

মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিরতি দিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে আবারও বাওড়ে তল্লাশি চালানো হয়। একপর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে পানির নিচ থেকে সোয়েবের লাশ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।

সোয়েবের নিকটাত্মীয় মনিরামপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফিরোজা বুলবুল কলি জানান, সোয়েবের বাবা ঈগল পরিবহনের সুপারভাইজার এবং মা একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। সোয়েবের বড় ভাই শোভন ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সোয়েবকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছে তার বাবা-মা। মাঝে মধ্যে প্রলাপ বকছেন তারা।

মনিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সোয়েবের লাশ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে