জাতীয় ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:৪২

ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক

ডেস্ক রিপোর্ট

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন তিনি।

শোকবার্তায় ওবায়দুল কাদের মরহুম খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এর আগে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক শোকবার্তায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং ও অর্থনীতি খাতে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের অনবদ্য অবদান রয়েছে।

কর্মের মধ্য দিয়ে তিনি দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। শোকবার্তায় তিনি খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বুধবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত মাসে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।  

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালের ৪ জুলাই গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ১৯৬৩ সাল থেকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ১৯৯৬ সালে অগ্রণী ব্যাংক এবং ১৯৯৭ সালে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

তিনি ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির উপর তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন ইব্রাহিম খালেদ। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

ব্যাংকিং ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে ২০০৯ সালে ‘খান বাহাদুর আহছানউল্লা স্বর্ণপদক’ ও ২০১৩ সালে ‘খান বাহাদুর নওয়াব আলী চৌধুরী’ জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০০ সাল থেকে তিনি কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার পরিচালক, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।