ডেস্ক রিপোর্ট
চাঁদপুরে আগুনে দগ্ধ হয়ে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক কলহ বা করো সঙ্গে বিরোধ ছিল না বলে দাবি স্বজনদের। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হাইমচরে পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় শরীরে আগুন লাগে শিখা রানী মজুমদারের। তার চিৎকারে ঘুম ভাঙে তার পরিবারের সদস্যদের। ছুটে আসেন আশপাশের লোকজনও। তবে এরআগেই পুড়ে মারা যান তিনি।
পঞ্চাশোর্ধ্ব শিখা রানী বাবার বাড়িতেই থাকতেন। পারিবারিক কলহ বা কারো সঙ্গে কোনও বিরোধ ছিল না বলে জানান স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
শিখা রানীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী সবিতা রানী বলেন, শিখার চিৎকারে আমার ঘুম ভাঙে। পরে দেখি শিখা বিছানায় নেই। বাইরে এসে দেখি ওর শরীরে আগুন।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
চাঁদপুর পিবিআই পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, শিখা রানী দাস আগুন পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করেছি।
চাঁদপুর পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, আগুনের শিখা রানী দাসে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করা হবে। তদন্তে যে দোষী সাব্যস্ত হবেন তাকে আইনে আওতায় নিয়ে আসা হবে।
হাইমচর কিন্ডারগার্টে স্কুলের শিক্ষক ছিলেন শিখা রানী মজুমদার।