অপরাধ ও দুর্নীতি ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০২:৩০

স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন

ডেস্ক রিপোর্ট

সাতক্ষীরায় স্বামীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম- মেহেরুন্নেছা (৪০)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জাকির হোসেন সরদার ওরফে ছোট বাবুর স্ত্রী। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালে আশাশুনি উপজেলার জব্বর মোল্লার মেয়ে তালাক প্রাপ্ত মেহেরুন্নেছার (২০) সঙ্গে একই উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জহির সরদারের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন সরদার ওরফে ছোট বাবুর (৪৪) বিয়ে হয়। বিয়ের পরও মোবাইল ফোনে মেহেরুন্নেছা তালাক দেওয়া স্বামীর সঙ্গে কথা বলতো। এ নিয়ে মেহেরুন্নছা ও ছোট বাবুর বিরোধ চলে আসছিল। 

এর জেরেই মেহেরুন্নছা তার স্বামী ও শাশুড়িকে খুনের হুমকি দেন। পরে ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর বিকেল খাটের উপর শুয়ে থাকা স্বামী ছোট বাবুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মেহেরুন্নেছা। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজাহারুল সরদার বাদী হয়ে মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মনোজ কুমার নন্দী ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে মেহেরুন্নেছা পালিয়ে যায়।

মামলার নথি ও ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আসামি মেহেরুন্নেছার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। 

আসামিপক্ষে সর্বশেষ মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. জিএম আবু বক্কর ছিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি আড. আব্দুল লতিফ।