অপরাধ ও দুর্নীতি ৬ মার্চ, ২০২১ ০৫:৫৮

‘ডিবি’ পরিচয়ে ৩৮ লাখ টাকা ছিনতাই

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ‘ডিবি’ পরিচয়ে পরিতোষ চন্দ্র ধর (৫০) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা করেছেন।

গতকাল শুক্রবার (৬ মার্চ) বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী পরিতোষ।

তিনি জানান, শ্যালক জীবন ধর (২৮) ও ভায়রা শিলীপ কুমার ধরের (৫৩) সঙ্গে যৌথ মালিকানায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুস সালাম মার্কেটে অলঙ্কারের ব্যবসা করেন তিনি। ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায়িক কাজে রাজধানীতে আসেন পরিতোষ। পুরান ঢাকার তাঁতি বাজারের রিজভী জুয়েলার্স থেকে ৬০ ভরি স্বর্ণ বিক্রি বাবদ ৩৮ লাখ টাকা বুঝে নেন তিনি। একটি কালো রংয়ের কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে ৩০ লাখ এবং লাল রংয়ের একটি শপিং ব্যাগে বাকি ৮ লাখ টাকা নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য ওইদিন বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে সায়েদাবাদ জনতার মোড় থেকে খাদিজা ভিআইপি সার্ভিস নামে একটি পরিবহনের বাসে ওঠেন। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বাসটি নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে পৌঁছালে অজ্ঞাত ৪ ব্যক্তি দুটি মোটারসাইকেলে এসে বাসটির গতিরোধ করে। ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাসটি থামানোর জন্য বললে চালক বাসটি থামায়।

পরিতোষ বলেন, এরপর ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিনজন লোক বাসে উঠে এবং আমার কাছে ব্যাগ কোথায় জানতে চায়। আমি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে দুটি পিস্তল ও আইডি কার্ড বের করে নিজেদের ডিবির লোক হিসেবে পরিচয় দেয় তারা। তাদের একজনের পরনে কালো রংয়ের ফুলহাতা শার্ট, অপরজনের পরনে ছিল অ্যাশ কালার টি-শার্ট। অন্যজন ড্রাইভারের কাছাকাছি ছিল। ওই ব্যক্তিরা আমার দুটি টাকার ব্যাগ তাদের হাতে নিয়ে বলে ‘তুই হুন্ডি ব্যবসা করিস, তোকে আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে। তারা আমাকে বাস থেকে নামিয়ে বাসের ড্রাইভারকে বাস নিয়ে চলে যেতে বলে।

তিনি আরও বলেন, বাসটি চলে যাওয়ার পর তারা আমার টাকার ব্যাগ দুটি নিয়ে আমাকে ব্রিজের ঢালে ফেলে রেখে দ্রুত মোটরসাইকেল করে চিটাগাং রোডের দিকে চলে যায়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আমরা বিভিন্ন স্থানের সিসি টিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছি। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে প্রযুক্তি ব্যবহারসহ নানাভাবে চেষ্টা করছি।