সারাদেশ ১১ মার্চ, ২০২১ ০৩:০১

কাদের মির্জার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের পর তার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও র‌্যাব। 

কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) মামলা দায়েরের পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। 

এর আগে সোমবার (০৮ মার্চ) বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আ.লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার পশ্চিম পাশের সড়ক দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় কাদের মির্জার সমর্থকরা। এ সময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে এ সংঘর্ষ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। 

রাত ৮টার দিকে মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা বসুরহাট বাজারে একটি মিছিল বের করলে বাদলের সমর্থকদের সাথে পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষকারীরা বসুরহাট পৌরসভা প্রাঙ্গণে অবস্থান নিলে শুরু হয় গোলাগুলি। এতে পুলিশসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি দোকানপাট ও অটোরিকশা।  

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮ জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির।