আন্তর্জাতিক ১৬ মার্চ, ২০২১ ০৩:৪০

চীনের উৎপাদন বেড়েছে ৩৫ শতাংশ

ডেস্ক রিপোর্ট

২০২০ সালের একই সময়ের চেয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের শিল্প খাতে উৎপাদন বেড়েছে ৩৫ দশমিক ১ শতাংশ। অবশ্য গত বছরের ওই সময়ে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনে ছিল চীন। সব ধরনের শিল্প উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ কারণে এ বছরে এসে গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি। এতে দ্রুতই করোনার ছায়া কেটে যাচ্ছে চীনের অর্থনীতির ওপর থেকে। তার বড় প্রমাণ, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটির প্রায় সবকটি অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানই ইতিবাচক।

সোমবার (১৫ মার্চ) সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এক বছর আগে থেকে প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি দ্রুতই আগের অবস্থানে ফিরতে শুরু করে। 

তবে বিশ্লেষকরা যা আশা করছিলেন, শিল্প উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি তার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

যদিও এর আগে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক মুখপাত্র লিউ আইহুয়া এক ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন যে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এখনও ভারসাম্যহীনতা রয়েছে এবং চীনের পণ্য রপ্তানির জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।

বৈদেশিক চাহিদার মূল চালিকা শক্তি চীনের রপ্তানি। করোনার সংক্রমণ এখনো থাকলেও স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে দেশে দেশে। সব মিলিয়ে চাহিদা বেড়েছে। ফলে চীনের রপ্তানি ভালো প্রবৃদ্ধিতে। 

বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ২০২১ সালে দেশটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে। অবশ্য এতটা আশাবাদী নয় চীন সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশের ওপরে।

দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, শুধু শিল্প উৎপাদন নয়, চীনের খুচরা বিক্রয়ও বেড়েছে ব্যাপক। গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম দুই মাসে গুরুত্বপূর্ণ এই অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ। 

খুচরা বিক্রয় তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গয়না ৯৯ শতাংশ ও গাড়ি ৭৮ শতাংশ বিক্রি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ থেকেই বোঝা যায়, নববর্ষের ছুটি উপলক্ষে বেশ খরচ করছেন ভোক্তারা।

তবে বেকারত্বের হার বেড়েছে দেশটিতে। ফেব্রুয়ারির শেষে দেশটির বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, যা গত ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ।