তানভীর আহমেদ পিন্টু
জীবনানন্দ দাস তাঁর কবিতার মাধ্যমে এই বাংলায় ফিরে আসার কথা ব্যক্ত করেছেন। জীবনানন্দের মতো আমিও সিলেট বার বার আসতে চাই। সিলেটের মানুষের আতিথিয়তায় মুগ্ধ হয়ে আমি এখানে আসতে চাই। সিলেটের মানুষ তাদের কুটুমদের কি পরিমাণ ভালোবাসে সিলেট না আসলে বুঝতাম না। সিলেট আমার পছন্দের জায়গাগুলোর মধ্যে সবসময় সবার উপরে আছে এবং থাকবে।
আমি মনে করি, যে কোন একটা শহরের মানুষ কেমন হবে সেটা অনুমান করা যায় সেই শহরের ড্রাইভারদের ব্যবহার দেখে। এই পর্যন্ত সিলেটে আমি চার গিয়েছি, এই চারবারই এখানকার ড্রাইভারদের ব্যবহার আর সততা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এবার যখন চারখাই বাজার থেকে সিলেটে আসার জন্য সিএনজিতে উঠলাম তখন ড্রাইভার চাচা আমার কথা শুনে বুঝতে পারলেন আমি সিলেটে বেড়াতে এসেছি, বাসে যাবো না ট্রেনে যাবো জিজ্ঞেস করলো, ট্রেনে যাবো শুনে বললো আমি যেখানে আপনাকে নামিয়ে দিবো সেখান থেকে রেলওয়ে স্টেশন আরো ২০ টাকা রিক্সাভাড়া, যখন সিএনজি থেকে নামাতে যাবো তখন ড্রাইভার বললো, বসেন আপনাকে স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে আসি আপনি মেহমান মানুষ। ভাড়া দেওয়ার সময় ২০ টাকা বাড়িয়ে দিতে চাইলাম নেয় নাই।
এই আন্তরিকতা, এই ভালোবাসা আমার আমৃত্যু মনে থাকবে। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু বলেছে, এ জন্য আমার এ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। শুধু এতটুকুই বলবো জোসনা রাতে বিলের মধ্যে নৌকার উপর বসে চাঁদের আলোয় আপনি যতটা মুগ্ধ হবেন, ঠিক ততটাই মুগ্ধ হবেন পাহাড় থেকে মেঘালয়ের মেঘভেদ করে আসা মিটমিটে আলোয়।
কুশিয়ারা নদী যেন আপনাকে সবসময় বলবে আমার মতো শান্ত আর দীর্ঘজীবি হও। সিলেটে মুগ্ধ হওয়ার জন্য আরো কতকিছু যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাঁর কোন ইয়াত্তা নেই। এই সিলেট শহরের প্রতি, এই শহরের মানুষের আমি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা নিবেন।
সবাই নীরোগ থাকুন,
দিন ভালো যাক ।
আজকের কাগজ