জাতীয় ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০১:৪০

খুব শিগগির সংকট কেটে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমরা দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছি। বর্তমানে জ্বালানি সংকটের কারণে এখন বিদ্যুতের উৎপাদনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। খুব শিগগির সংকট কেটে যাবে। দেশের কেউ অন্ধকারে থাকবে না।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল (চুল্লি) স্থাপনের কাজ উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন।

সময় কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "বর্তমানে বিশ্বজুড়েই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এমন যখন পরিস্থিতি তখন আমাদের সবাইকে আরও মিতব্যয়ী সাশ্রয়ী হতে হবে। কে, কী বললো তাতে কান দেওয়া যাবে না।" সরকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

চলমান প্রকল্পে রাশিয়ানসহ সাড়ে চার হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ২৩ হাজার মানুষ কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট চালু করতে পারবো বলে আশা করি। ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু হবে। প্রকল্প চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো উন্নতি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে

অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটমের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।

চুক্তি অনুযায়ী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যা নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একক উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে রূপপুর দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প।

 উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সময় রাশিয়ান ফেডারেশনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সের্গেই কিরিয়েংকো উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হৃদপিণ্ড বলে বিবেচিত রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপনকাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর