সারাদেশ ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৩০

নাইক্ষ্যংছ‌ড়িতে ফের গোলাগুলি, সরানো হলো দেড়শ পরিবার

বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার চাকঢালা সীমান্তে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মর্টার শেল এবং গুলির বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে। এতে ছেড়ারমাঠ সীমান্ত এলাকার দেড় শতাধিক পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গোলাগুলি বাড়তে থাকে সীমান্ত এলাকায়।

গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার বলেন, গতকাল থেকেই ওপার দিয়ে গোলাগুলি ও আর্টিলারি মটার শেল বিস্ফোরণে এপারের কয়েকটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। এতে এলাকাবাসী ছোটাছুটি করেছেন এবং সীমান্তে অবস্থানরত সবাই আতঙ্কিত। কারণ আজ পর্যন্ত এ ধরণের গোলাগুলির আওয়াজ কখনও শোনা যায়নি সেখানে। আতঙ্কিত দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব  হয়নি।

 দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান বলেন, শনিবার সকালে দৌছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে দুপুরের পর সেটি বন্ধ হয়েছে । দৌছড়ি সীমান্ত থেকে কোনো জনসাধারণকে সরানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, হেডম্যানপাড়া এবং দৌছড়ি সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর দুই মাস ধরে সংঘাত চলছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ব্যবহৃত যুদ্ধ বিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। মাঝেমধ্যেই মর্টার শেলের গোলা এবং ভারী অস্ত্রের গুলি এসে পড়ছে ঘুমধুম সীমান্তে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উড়ে এসে পড়া মর্টার শেলের গোলা বিস্ফোরিত হয়ে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও জন।

আমাদের কাগজ/ ইদি