দুর্যোগ ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ০১:৩০

সাগর উত্তাল, ৩ নাম্বার স্থানীয় সতর্কতা সংকেত

ছবি:ইন্টারনেট

ছবি:ইন্টারনেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিনত হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার ( ২৩ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে নিম্নচাপটি অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র পুরো বরিশাল বিভাগে ও চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী, ও চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। স্থলভাগে আঘাত করার সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে প্রবেশের সম্ভাব্য সময় ২৪ অক্টোবর সকাল ৯টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত করার পরে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে ১৮ ঘণ্টা থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ২৪ অক্টোবর দিবাগত রাত আমাবস্যা হওয়ার কারণে উপকূলীয় এলাকা ও চর অঞ্চলগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হওয়ার প্রবল শঙ্কা দেখা যাচ্ছে।’

এ কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 

আমাদের কাগজ//টিএ