জাতীয় ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ০৩:৫০

প্রয়োজনে দিনে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করতে হবে: তৌফিক-ই-ইলাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের রিজার্ভের অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক--ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, এলএনজি এখন আমরা আনছি না। সময়ে ২৫ ডলার হিসাব ধরেও যদি এলএনজি আমদানি করতে যাই, চাহিদা মেটাতে অন্তত মাস কেনার মতো অবস্থা আছে কি না- জানি না। আমাদের এখন সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনেরবেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধই করে দিতে হবে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত শিল্পে জ্বালানি সংকট সমাধান শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোলায় আমাদের ৮০ এমএমসি গ্যাস আছে, সেগুলো সিএনজিতে করে নিয়ে আসবো। আমরা দু-তিন মাসে সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। অপরদিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাবো। আরও এক হাজার মেগাওয়াট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদন করবো। তখন অনেকটাই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

তৌফিক--ইলাহী চৌধুরী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কবে শেষ হবে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া গেলে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতাম। আজ যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে লোডশেডিং বাড়বে, তখন আপনারাই সমালোচনা করবেন। অথচ একসময় সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষি ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যুৎ বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে দিনেরবেলা ব্যবহারই করবো না। বিদ্যুৎ যদি আমরা শিল্পে দেই, তাহলে আবাসিকে সাপ্লাই কমাতে হবে। সেটা করলেই আবার মিডিয়ায় অনেকেই অনেক কথা বলবেন।

যুদ্ধের সময় তো আমাদের কিছুই ছিল না উল্লেখ করে তৌফিক--ইলাহী বলেন, তখনও  তো আমরা চলেছি। এখনও চেষ্টা করলে পারবো। আমরা শপথ নেবো, দরকার হলে দিনেরবেলা কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক . ইজাজ হোসাইন প্রমুখ।

আমাদের কাগজ/ ইদি