মেহেরপুর প্রতিনিধি: নববধূকে মাথায় আঘাত করে খুনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে গাংনীর ষোলটাকা ইউনিয়নের কুঞ্জনগর গ্রামের ওলি আহমেদের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন(৩৩) নামের এক ব্যক্তি ।
এলাকাবাসী জানায়, বিদ্যুতের পঞ্চম স্ত্রী ছিলেন ছাবিনা। গত ২৭ দিন আগে তাদের বিয়ে হয়।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কুঞ্জনগর গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে বিদ্যুতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকালে ঘর থেকে ছাবিনার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ।
পুলিশের ধারণা রাতে স্ত্রী ছাবিনাকে হত্যার পরে বিদ্যুৎ গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয়রা বলেন, ছাবিনার আগে আকিতারা খাতুন, ইসমত আরা, আর্জিনা খাতুন ও জান্নাতুল নামে আরও চারজনকে বিয়ে করেছিলেন বিদ্যুৎ। কিন্তু সেসব বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ২৭ দিন আগে পার্শ্ববর্তী মটমুড়া ইউনিয়নের কুমারীডাঙা গ্রামের আ. সাত্তারের মেয়ে ছাবিনাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
নিহত নববধূর ভাই মুকুল হোসেন বলেন, ২৭ দিন আগে বিদ্যুতের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সে আমার বোনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আমি আমার বোনকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আনতে গেলে সে বোনকে আমার সঙ্গে আসতে দেয়নি। রাত ১টার দিকে খবর আসে আমার বোনকে হত্যা করে সে পালিয়েছে। শুনছি এটা তার পঞ্চম বিয়ে ছিল।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকালে ঘর থেকে ছাবিনার মরদেহ উদ্ধারের পর বিদ্যুৎকে খুঁজছিল পুলিশ। দুপুরে নিকটস্থ বাঁশবাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী বিদ্যুৎ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। ছাবিনার পর বিদ্যুতের মরদেহও ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আমাদের কাগজ/ইদি