জাতীয় ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ১২:১০

পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: গোয়েন্দা নজরদারিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৯ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সদস্যদের অধীনস্থ কর্মচারীরা রয়েছেন। অনেকে পলাতক রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা ছাড়া নিম্ন পদের কর্মীদের পক্ষে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব নয়। এ কারণে গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছেন নিয়োগ কমিটির সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিয়োগ কমিটিসহ প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ। সন্দেহভাজনদের ইতিমধ্যেই নজরদারিতে আনা হয়েছে। পরিকল্পিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা।

সূত্র জানায়, নিয়োগ পরীক্ষার জন্য একটি কমিটি গঠন করে বিমান এয়ারলাইন্স। কমিটির প্রধান এভিয়েশন পরিচালক প্রশাসন মো. এছাড়া কমিটিতে রয়েছেন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের (বিএটিসি) অধ্যক্ষ এবিএম নাজমুল হুদা, মহাব্যবস্থাপক (জিএসই) তাইজ ইবনে আনোয়ার, মহাব্যবস্থাপক আইটি (ভারপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ারুল হক

সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ইঙ্গিত পেয়ে জড়িতদের ওপর নজর রাখছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। অনুসন্ধানে বিভিন্ন পদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য পান গোয়েন্দারা। ২১ অক্টোবর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা বিভাগ (লালবাগ) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দাদের কয়েকটি দল ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৫ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর ৪ জনসহ মোট ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিমানের অফিস সহকারী আওলাদ হোসেন, জাহিদ ও জাবেদ এবং পরিচালক প্রশাসন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সোবহান। গ্রেফতার এমটি অপারেটর মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ভূঁইয়া বিমানের গাড়িচালক।

গ্রেফতারকৃত আরেক এমটি অপারেটর মো. জাহাঙ্গীর আলম একসময় উপ-মহাব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) তাইজ ইবনে আনোয়ারের গাড়ি চালাতেন। তাইজ ইবনে আনোয়ারের বর্তমান গাড়িচালক মাসুদও গ্রেফতার হয়েছেন। মাসুদ ছুটিতে থাকলে তাইজ ইবনে আনোয়ারের গাড়ি চালান জাহাঙ্গীর আলম। গ্রেফতার হারুনুর রশিদ অর্থ পরিদফতরে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। এমটি অপারেটর মো. এনামুল হক জিএসই বিভাগে কাজ করেন।

বিমানের চালক মাহবুব আলী ও জিএম অ্যাডমিন চালক আবদুল মালেককে খুঁজছেন। এদিকে চালক মাহবুব আলী পলাতক রয়েছে। এছাড়াও, পুলিশ ও গোয়েন্দারা সন্দেহভাজনদের নজরদারিতে রেখেছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় তদন্ত চলছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সন্দেহভাজনদের নজরদারি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিমানের নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আমাদেরকাগজ/এইচএম