জাতীয় ১ নভেম্বর, ২০২২ ১২:৪৭

দেশকে এগিয়ে নিতে যুবকদের যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুবকরাই দেশকে এগিয়ে নেবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার সময়ে আমি দেখেছি, চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে সব কাজে তরুণরা এগিয়ে এসেছে। এটা গর্বের বিষয়। পৃথিবী নতুন নতুন উদ্ভাবনে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এটা আমাদের তরুণরা করবে। আমাদের যুবকরা এত মেধাবী, তারা সব কাজে অবদান রাখতে পারে। ১৯৭১ সালে যুবকরাই অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। আমরা বীরের জাতি। আমাদের বীরের জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে হবে। কারও কাছে মাথা নত করা যাবে না।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় যুব দিবস-২০২২ এর উদ্বোধন এবং ‘জাতীয় যুব পুরস্কার-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুব উন্নয়ন কেন্দ্র লেখা হয়। আমি নিজে সেখানে গিয়ে দুর্দশার চিত্র দেখেছি। আমরা সরকার গঠন করে তাদের উন্নতি করেছি। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পর্যায় পর্যন্ত যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। তারা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারা যাতে সফলভাবে প্রশিক্ষিত এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হয় সেদিকে আমরা বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছি।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে এদেশে লাখো মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে যুবকরা জাতির পিতা ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুবকরা। সর্ব্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে লাল-সবুজের একটি নতুন দেশ সৃষ্টি করে এ দেশের যুবসমাজ। যুবদের তিনি সংগঠিত করেছিলেন দেশপ্রেমের মহান দীক্ষায়। জাতির পিতা স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশ পুনর্গঠনেও যুবসমাজকে কাজে লাগান এবং শিক্ষিত ও কর্মদক্ষ যুবসমাজ সৃষ্টিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন ও রূপরেখা প্রণয়ন করেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীচক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশের যুবসমাজকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার পথে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর জাতির জনকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তরুণদের উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর সরকার তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও কৃষিভিত্তিক বহুমুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।


আমাদেরকাগজ/এইচএম