লাইফ স্টাইল ৫ নভেম্বর, ২০২২ ০৪:০৭

বাঁশ কেন খাবেন ?

ফিচার ডেস্ক: মজা করার ছলে যে শব্দটি সবচেয়ে ব্যবহৃত হয়, সেটি ‘বাঁশ’। অথচ আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চলসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাঁশ খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। শুধু সুস্বাদুই না শারীরিক সুস্থতায় বাঁশ খুবই উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি দিতে বাঁশের কার্যকারিতা অপরিসীম। স্বাদের পাশাপাশি দৈহিক সুস্থতায় বাঁশের ভূমিকা অপরিসীম। চীনের অধিবাসীরা বাঁশের কোঁড়লকে ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’ বলে অভিহিত করেন।

বাঁশে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। বাঁশের কোঁড়লে ৮৮-৯৩% পানি, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও রয়েছে।

বাঁশের উপকারিতা

শীতকালে সাধারণত বয়স্ক এবং শিশুদের কাশি হয়। এসময় বাঁশ পাতার রস খেলে কাশি কমে।

বাশেঁর কোঁড়ল হাঁপানি রোগীদের সুস্থ থাকতে ভূমিকা রাখে।

দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

এটি উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।

কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে।।

ডায়াবেটিস রোগীরা বাঁশের কোঁড়ল খেলে উপকার পাবেন।

বাঁশ কোঁড়লে শুটকি

যা যা লাগবে: বাঁশ কোঁড়ল, শুঁটকি, পেঁয়াজ কুচি, তেল, লবণ, মরিচের গুঁড়া।

যেভাবে রান্না করবেন:  সিদ্ধ করে বাঁশ কোঁড়ল কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। তারপর  পাত্রে পরিমাণ মতো তেল ‍দিয়ে চুলায় বসিয়ে শুঁটকি ও কুচি করা পেঁয়াজ  তেলে ভেজে নিতে হবে। কিছুক্ষণ ভাজার পর বাঁশ কোঁড়ল দিয়ে নেড়ে লবণ ও হালকা লাল মরিচের গুঁড়া মেশাতে হবে। এরপর সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে অল্প তাপে বাঁশ কোঁড়লে শুঁটকি রান্না করতে হবে।

শুটকির জায়গায় চিংড়ি দিয়েও রান্না করা যায়। চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে নামানোর আগে হালকা জিরা গুঁড়া মেশাতে হবে।

বাঁশ কোঁড়ল দিয়ে মাংস

মাংসের সঙ্গে বাঁশ কোঁড়ল রান্না খুবই মজাদার। প্রথমে স্বাভাবিক নিয়মেই মুরগি কিংবা অন্যান্য পশুর মাংস রাঁধতে হবে। শুধু মাংসটা হওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগে কুচি করে কাটা সিদ্ধ বাঁশ কোঁড়লগুলো দিতে হবে।

বাঁশ কোঁড়ল সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া বাঁশের কোঁড়ল দিয়ে চিংড়ির দোপেঁয়াজা কিংবা স্যুপ বানাতে পারেন। ওয়ান বাইট বাঁশ কোঁড়ল ও স্টাইয়ার ফ্রাই বাঁশ কোঁড়লও দারুণ সুস্বাদু খাবার।

আমাদের কাগজ/ইদি