জাতীয় ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০৫:৩৬

আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা এগিয়ে যাব, জাতির পিতার স্বপ্ন উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবলীগ নেতাদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, যেহেতু ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাশন আর স্যাশন, আমাদের আমদানী সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে, যুবলীগের নেতারা গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করতে হবে এবং অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ করতে হবে।

বিএনপির নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতারা কখনো ভেবেছিল বাংলাদেশের স্যাটেলাইট আকাশে উড়বে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসে তা করে দিয়েছে। বিএনপি একটা সন্ত্রাসী সংগঠন।  

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তী। সকল যুবলীগ নেতাকে আমি অভিনন্দন জানাই। জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২সালে ১১ নভেম্বর যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত করেন। জাতির পিতার নিদের্শে যে যুবলীগকে পরিচালনা করেছিলেন সেই শেখ মণিকে ১৫ আগষ্টে নিমর্ম ভাবে হত্যা করে। আমি আজকে যে মাঠে ভাষণ দিচ্ছি সেই ঐতিহাসিক মাঠে ৭১ সালে ৭ মাঠ মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন জাতি পিতা। সেই ভাষন বিএনপি নিষিদ্ধ করেছিল। এখন জাতির পিতার সেই ঐতিহাসিন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। করোনাকালীন সময়ে এই যুবলীগ অনেক কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সহ সব সংগঠন মানবতার ডাকে সাড়া দিয়েছে।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পারশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্ঠা সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।  

যুব মহাসমাবেশটি পরিচালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তার আগে বেলা আড়াইটার পর তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সভামঞ্চের সামনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ উত্তোলন করেন দলীয় পতাকা। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে, জাতীয় সংগীত গেয়ে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবস্থান আছে (অংশ নিয়েছে)। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। তিনি বলেন, উন্নয়ন নাকি তারা চোখেই দেখে না। এখন চোখ থাকতে যদি কেউ অন্ধ হয় তাহলে তো কিছু করার নেই। তারা উন্নয়ন চোখে দেখে না। অথচ ব্যবহার ঠিকই করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সব সুফল তারা ভোগ করছে। বিএনপির আমলে তারা কী করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকতে লুটপাট করেছে, দেশের কোনো উন্নয়ন তারা করেনি। খালেদা জিয়া ২০০১ সালে এসে হাজার হাজার নেতাকে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে হত্যা করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, যাদের নেতৃত্বে আজ বিএনপি চলে তারা কে? খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে। একটি টাকাও এতিমরা পায়নি। এক পয়সাও না দিয়ে সমস্ত টাকা তারা মেরে খেয়েছে। সেই কারণে খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তারপর যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে তো আরও এক ধাপ এগিয়ে। মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। যাদের নেতাই খুনি-আসামি। তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি কখনও কল্পনাও করতে পারেনি বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে। আজকে অনলাইনে কেনাকাটা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে। আমরা একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। পরে সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

আমাদের কাগজ//জেডআই