অপরাধ ও দুর্নীতি ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০৬:২০

ফারদিন হত্যার নতুন রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার তদন্তে নতুন মোড় নিচ্ছে। ধারণা কর হচ্ছে ফারদিনকে কারিগরি তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীরা হত্যা করেছে।

সূত্র জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতে ফারদিন কেরানীগঞ্জ, পুরান ঢাকার জনসন রোড, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ডেমারার চানপাড়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সকাল আড়াইটার দিকে তিনি চানপাড়া এলাকায় ছিলেন।

কারিগরি তদন্তে জানা গেছে, ওই রাতে বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে রামপুরায় নামানোর পর ফারদিন মেসেঞ্জারে অন্য বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সকালে ওই বান্ধবীর সঙ্গে ৫৯ মিনিট কথা হয় ফারদিনের। মূলত ফারদিন কেরানীগঞ্জ ও জনসন রোডে মাদক কিনতে যান। কয়েক জায়গায় কিনতে না পেরে অবশেষে ডেমরার কাছে চানপাড়ায় পুরনো পরিচিতদের কাছে যান। সেখানে তিনি ফেনসিডিল কেনার চেষ্টা করেন। ফেনসিডিল বিক্রিকে কেন্দ্র করে চনপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শাহিন ওরফে সিটি শাহীন ও তার লোকজনের সঙ্গে ফারদিনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আট থেকে দশ জন ফারদিনকে বেধড়ক মারধর করে। পরে রাতে শাহীন ও তার লোকজন ফারদিনের নিথর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

র‌্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-১ এর একটি দল চাঁনপাড়ায় মাদকের স্পটে অভিযান চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সিটি শাহীন নামে এক মাদকের গডফাদার গুলিবিদ্ধ হয়ে পরে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান।

অন্য একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের যোগসাজশের বিষয়টি সামনে আসার পর শাহীন ও তার লোকজনকে গ্রেফতার করতে মাঠে নেমেছে একাধিক সংস্থা।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক ধারণা ছিল, হত্যার পর ফারদিনের মরদেহ কেরানীগঞ্জের কাছে একটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তবে প্রযুক্তিগত তদন্তে ফারদিনের শেষ অবস্থান চানপাড়া এলাকায় নিশ্চিত হওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ চানপাড়ার কাছে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।


আমাদেরকাগজ/এইচএম