বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ১০:১৬

নাসা যে কারণে চাঁদে 'আর্টেমিস ১ পাঠালো

ছবি:ইন্টারনেট

ছবি:ইন্টারনেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বুধবার (১৬ নভেম্বর) সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে নাসার 'আর্টেমিস ১' মিশনের যাত্রীবিহীন মহাকাশযান 'ওরিয়ন'। চাঁদে আবারো মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ মহাকাশযান পাঠিয়েছে সংস্থাটি। 

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর এই মিশনটি সম্পন্ন হবে মোট ৩টি ধাপে। যার প্রথম ধাপ 'আর্টেমিস ১' উৎক্ষেপণ। এই যাত্রীবিহীন অভিযানের মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য 'ল্যান্ডিং সাইট' চিহ্নিত করা।

একই পরীক্ষা হবে মিশনের দ্বিতীয় ধাপেও। তা সফল হলে তৃতীয় ধাপের অভিযানে চাঁদে পাড়ি দেবে মানুষ।  ৫০ বছর পর পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে আবারো মানুষ পাঠানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছে নাসা।

তবে, 'আর্টেমিস ১'-এর উৎক্ষেপণের সময় বারবারই পেছানো হয়েছে। শুরুতে আগস্টের ২৯ তারিখ উৎক্ষেপণের দিন ধার্য করা হয়েছিল। এমনকি নির্ধারিত সময়ে কাউন্ট ডাউন শুরুও হয়ে গেলেও মাঝপথে তা থামিয়ে দিতে হয়। রকেটের তরল হাইড্রোজেনের লাইনে ছিদ্র ধরা পড়ে উড্ডয়নের শেষ মুহূর্তে। পরে সে অভিযান বাতিল করতে বাধ্য হয় নাসা। ২৯ আগস্টের পর ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণের দিন নির্ধারিত করা হয়। সেবারও তরল হাইড্রোজেনের ট্যাঙ্কে ছিদ্র ধরা পড়ে। ফলে নাসা আবারো অভিযান বাতিল করে। 

'আর্টেমিস ১'-এর উৎক্ষেপণের সময়ে রকেটের নিচে থাকা ৪টি বড় ইঞ্জিনে ৩০ লক্ষ লিটার ঠান্ডা তরল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পুড়ে বিপুল শক্তি উৎপাদিত হয়। এই শক্তি কাজে লাগিয়েই মহাকাশে পাড়ি দেয় রকেট। নাসার নাসার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক সাফল্য। 

এর আগে ১৯৬৯ সালে 'অ্যাপোলো-১১' মিশনে প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠানো হয়েছিল। নাসার সেই অভিযানে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন নীল আর্মস্ট্রং এবং এডুইন অলড্রিন। এরপর ১৯৭২ সালে নাসার মহাকাশযান 'অ্যাপোলো-১৭' মহাকাশচারী জেন সারনানকে নিয়ে নেমেছিল চাঁদে। সেই ঘটনার অর্ধশতক পূর্তিতে আবার চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে নাসা।

সেই ঘটনার অর্ধশতক পূর্তিতে আবার চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে নাসা। সেই সঙ্গে চাঁদে একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা পরিকাঠামো গড়ে তোলারও পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার।

 

আমাদের কাগজ//টিএ