সারাদেশ ১৮ নভেম্বর, ২০২২ ১১:১৯

বিএনপির গণসমাবেশ এদিন আগে থেকে আসছেন নেতাকর্মীরা,সতর্ক পুলিশ  

ছবিঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট

আমাদের কাগজ ডেস্কঃসিলেটে আগামীকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের একদিন আগে আজ শুক্রবার(১৮ নভেম্বর)  সকাল ছয়টা থেকে তিন জেলায় (সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে) শুরু পরিবহন ধর্মঘট।

৩৬ ঘণ্টার এ ধর্মঘট চলবে শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর সিলেট জেলায় ধর্মঘট চলবে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা। এ অবস্থায় যাতায়াতে বিঘ্নতা এড়াতে সমাবেশের আগের দিন থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীরা সিলেটে আসতে শুরু করেছেন। 

সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে; কঠোরভাবে প্রতিহতের কথা জানিয়েছেন ক্ষমতাশীল দল আওয়ামী লীগ। নগরীতে শোডাউন দিচ্ছে ছাত্রলীগ। আর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশি ব্যাবস্থা।

এ দিকে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।

মাঠে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা বলছেন, ধর্মঘটের বিষয়টি মাথায় রেখেই তারা আগেভাগে সমাবেশস্থলে এসেছেন। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সারাদিন ও রাতেও আশপাশের জেলাগুলো থেকে বহু লোক আসবে। অনেকে শনিবার হেঁটেও সমাবেশস্থলে পৌঁছাবে। 

বিএনপি নেতারা জানান, পরিবহন ধর্মঘটসহ নানা বাধার কারণে আগেভাগে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা সিলেটে আসতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য এসব ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চল ও অঙ্গসংগঠনগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ক্যাম্প করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পেই আগে আসা নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। আজ রাতভর এবং কালও লোকজন আসবেন। তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
 

সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট রুকসানা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশকে ঘিরে এরই মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

ধর্মঘট নিয়ে বিএনপির অভিযোগ, বিভাগীয় গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সাংবাদিকদের বলেন, কারা কী জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন এটা বোঝার বাকি নেই। তবে ধর্মঘট করে জনরোষ আটকানো যাবে না।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি কলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সরকার ধর্মঘট দিয়ে মানুষকে সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করতে পরবে না।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যদি বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

‘চাপে পড়ে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে’ বিএনপির এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা। 

জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া সাংবাদিকদের জানান, সিএনজি, অটোরিকশার নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধসহ চার দফা দাবিতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। এটা ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন ও বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি যদি বলে যে, আমরা ইচ্ছে করে ওনাদের সভার দিনে ধর্মঘট ডেকেছি, তাহলে আমি মনে করি এটা ঠিক হবে না।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, সমাবেশের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা করে, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।