জাতীয় ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৩২

দেশে যে রিজার্ভ আছে আরও ৫ মাস চলবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে আরও পাঁচ মাস চলবে। দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হয়েছে। এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যারা বলেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল। কেন খরচ হচ্ছে। তাদের বলছি রিজার্ভের টাকা গেছে গম, ভূট্টা, ভোজ্যতেলসহ মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশে এত উন্নতি হয়েছে । আওয়ামী ক্ষমতায় থাকলেই গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকে। নির্বাচনে যতোটুকু স্বচ্ছতা তা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হয়েছে। এখনও ৫ মাসের ব্যয় মেটানোর মত রিজার্ভ আছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি এৃকটা কথা বলতে চাই, রির্জাভ নিয়ে তো খুব আলোচনা। আমরা কী করেছি। আমাদের জ্বালানী তেল কিনতে হয়েছে। এলএনজি যেটা ৬ডলারে কিনতে পারতাম, সেটা এখন ৬২ ডলার, জ্বালানী তেল, ভোজ্য তেলসহ প্রত্যাকটার দাম বেড়েছে। আমাদের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় আমাদের আনতে হয়েছে। করোনার টিকা ক্রয় করতে হয়েছে। আপনার দেখেছেন শত শত সেতু হয়েছে। একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন। আজ পর্যন্ত কেউ করতে পেরেছে। বিএনপি তো ক্ষমতা ছিল, তারা দাবি করে এতো বছর, তারা কী করতে পেরেছে? পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার করতে পেরেছে। পদ্মা সেতুর মতো সেতু আমাদের নিজেদের অর্থায়নে করেছি। রেল, বিমান, নদী ড্রেজিং, খাদ্য ক্রয় করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলবো, বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগে একটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। বাংলাদেশ নদী মাতৃ দেশ, মাটি অত্যন্ত নরম, এখানে রাস্তাঘাট করতে গেলে অনেক খরচ বেশি হয়। ওই মাটিকে শক্ত করে তারপর করতে হয়। অন্য দেশের জন্য তুলনা করে আমরা করতে পারি না। অনেকে প্রশ্ন করে টাকা বেশি লাগে, যারা এদেশের সাথে সম্পর্ক নাই, যারা এদেশের মাটি চেনে না, এদেশের নদী, খালবিল বুঝে না, তারাই এই প্রশ্ন করবে। যেখানে একটা কাজ করতে গেলে অনেক বেশি খরচ লাগে। আমি যখন ২০০৮ নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ করব ঘোষণা দিয়েছিলাম তখন শুরু হয় হাসাহাসি। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই তো সোশ্যাল মিডিয়াতে ইচ্ছে মতো বলতে পারছেন। আর বক্তিতা দিতে পারছে। আগে একটা টেলিভিশন এবং একটা রেডিও ছিল সরকারী। আওয়ামী লীগের আমলে প্রচুর টেলিভিশন আর রেডিও করে দিয়েছি। প্রত্যকটাইতে হত্যা, ওমুক, সমুক, সবই আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে। আমি করে দিয়েছি বলেই তো আজকে কথা বলতে পারছে। নাহলে তো কথা বলতে পারতো না। সারাদিন কথা বলে বাগ স্বাধীনতা নেই। এই যে সোশ্যাল মিডিয়া এতো কথা বলে, যদি আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ না করতাম তাহলে কথা বলতো কোথায়।

আমাদের কাগজ//জেডআই