সারাদেশ ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০৯:৪৪

আ.লীগের ২৪০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাবেক এমপি পাপিয়াকে হত্যার উদ্দেশে গুলি ও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলাটি আদেশের জন্য অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন দ্রুত বিচার আদালতের পেশকার মিজানুর রহমান।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল-আমিন বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বাবু প্রমুখ।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গত ১৮ নভেম্বর কামারখন্দে প্রচারপত্র (লিফলেট) বিতরণ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, রামদা, ছুরি, হকিস্টিক, ইট, পাথর, লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।

মামলার আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হামলার সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ ও সাবেক সংসদ সদস্য পাপিয়াকে হত্যা করার উদ্দেশে গুলি করা হয়। তারা কৌশলে সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। পরে আসামিদের এলোপাথাড়ি হামলায় সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। হামলায় ৫টি মোটরসাইকেল, একটি প্রাডো গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এতে প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে একই ঘটনায় শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে বিএনপির ২৬ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়ের করেছেন কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা।

আমাদেরকাগজ/ এএইচ