জাতীয় ২২ নভেম্বর, ২০২২ ০১:১৭

‘পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ক্ষমতা দুদকের নেই’ 

ছবিঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষমতা তাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেই। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে বিভিন্ন দেশের কাছে তথ্য চাইতে হয়। সরাসরি যোগাযোগ করা যায় না। এতে তথ্য সময় মতো পাওয়া যায় না। তারাও দিতে চায় না।

তিনি বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের (অর্থপাচার) অভিযোগের বোঝা আমাদের নিতে হচ্ছে। অথচ, এ নিয়ে কাজের ক্ষমতা এখন দুদকের নেই। অর্থ পাচার নিয়ে সরকারের সাতটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে। আমরা সাত ভাগের এক ভাগ করি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে আমরা কাজ করছি। যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, সেখানে যেন দুদক সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে, সেই আইন করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) জহুরুল হক বলেছেন, কেবল চুনোপুঁটিই ধরে না দুদক, বিশ্ব রেকর্ড করার মতো রাঘববোয়ালদেরকে ধরেছে। আমরা যেসব কাজ করি তার সব খবর আপনাদের কাছে যায় না। আর সব খবর প্রচার করেন, তাও না। আপনারা বলেন, দুদক কেবল চুনোপুঁটি ধরে। কিন্তু দুদক বিশ্ব রেকর্ড করার মতো রাঘববোয়াল ধরেছে।

তিনি বলেন, জহুরুল হক আরো বলেন, দুদকই পৃথিবীর একমাত্র সংস্থা যে দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেককে জেলেও পাঠিয়েছে, যা বিশ্বে অন্য কোনো দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা করেনি।

অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলায় দুদকের সাফল্য তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলায় দুদকের সাফল্য রয়েছে। দুদক ২০২০ সালে আটটি ও ২০২১ সালে ১৩টি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে চারটি ও ২০২১ সালে একটি মামলার চার্জশিট দায়ের করেছে। যেসব মামলার চার্জশিট হয়েছে আমার বিশ্বাস সেগুলোর মামলার ৮০ শতাংশ ফল আমাদের পক্ষে আছে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান ও জহুরুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

আমাদের কাগজ/এম টি